নেইমার জানালেন তার শৈশব নায়কদের কথা
---
স্পোর্টস ডেস্ক : সকল ফুটবলারেরই আদর্শ হিসেবে কেউ না কেউ থাকেন। কারও আদর্শ দিয়েগো ম্যারাডোনা, কারও আদর্শ পেলে। হালের নতুন কোনো ফুটবলারের আদর্শ লিওনেল মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর ব্যতিক্রম নন নেইমারও। অন্যান্য ফুটবলারের মতো ব্রাজিলিয়ান এই তারকার আছেন পছন্দের চার ফুটবলার। যাদের দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। যাদের খেলতে দেখে ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসার মাত্রাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
বুধবার ঘরের মাঠ সাও পাওলোতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে চিলিকে ৩-১ গোলে হারায় নেইমারের ব্রাজিল। সেই ম্যাচের আগে অনুশীলনের ফাঁকে এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানালেন শৈশবের চার নায়কের কথা। বলেন, ‘ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের অনেক বড় ভক্ত আমি। যদিও আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম। আমার শৈশবের নায়ক ছিলেন চারজন। এভাইর অ্যাপারেসিদো পোলিনো, মার্কোস রবার্তো সিলভেইরা রেইস, আলেক্সসান্দ্রো ডি সুজা ও রিভালদো। তারা সকলেই পালমেইরাসে খেলেছেন।’
শুরুটা সান্তোসে, এরপর চার মৌসুম আলো ছড়িয়েছেন বার্সেলোনায়। স্পেন থেকে পাড়ি জমান প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। এভাবেই বিশ্বসেরা ফুটবলারদের কাতারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
এই লম্বা সফরে নেইমার আদর্শ মেনেছেন তার স্বদেশী চার ফুটবলার এভাইর অ্যাপারেসিদো পোলিনো, মার্কোস রবার্তো সিলভেইরা রেইস, আলেক্সসান্দ্রো ডি সুজা ও রিভালদো। প্রথম তিনজনকে সেলেসাওদের বাইরে কয়জন মনে রেখেছেন তা গবেষণার বিষয়। তবে এই তালিকার চতুর্থ ফুটবলার রিভালদো ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন আলাদাভাবে। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
এই চারজনকে নিজের নায়ক মনে করে ফুটবল খেলে যাচ্ছেন নেইমার। ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বে। ২০১৪ তে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে পারেননি দলকে ‘হেক্সা’ বা ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দিতে। এবার নিশ্চয়ই আটঘাট বেধে সতীর্থদের নিয়ে মাঠে নামবেন ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার কিড।