ই-সিগারেটও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
---
স্বাস্থ্য ডেস্ক : ধূমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন ই-সিগারেট। তামাক পোড়ানো গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ই-সিগারেট বা ভেইপার। হৃদ্রোগসহ হাজারো শ্বাসনালির রোগের উৎস ধূমপান। সিগারেট আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার নাম করে কতটা উপকার হচ্ছে শরীরের? সুইডেনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, ই-সিগারেটেও বাড়ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি।
ভেইপার বা ই-সিগারেটে নিকোটিনবিহীন হতে পারে। তবে কড়া ধূমপায়ীরা নিকোটিন মাত্রা কমিয়ে ভেইপ শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিকোটিনের মাত্রা নিয়ে আসেন শূন্যের কোঠায়। ওসব ধোঁয়ায় অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ পছন্দ করেন। বাজারে আপেল, চকলেটসহ নানা স্বাদের তরল নিকোটিনের কাটতি আছে।
সুইডেনের ক্যারোলিনস্কি ইনস্টিটিউট দেখিয়েছে, নিকোটিনযুক্ত ই-সিগারেট সেবনে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ধমনি পর্যন্ত অকার্যকর হতে পারে। হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনিগুলো এর ফলে স্বাভাবিকভাবে শক্ত ও দৃঢ় হয়ে পড়ে, যা সময়ের সঙ্গে ভেতরকার রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির পাশাপাশি স্ট্রোক ও অন্যান্য হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় তিন গুণ।
২০১৬ সালে ১৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একটি পরীক্ষা চালানো হয়। যেখানে এক দিন তাদের ৩০ মিনিট ধরে নিকোটিনযুক্ত ভেইপার পান করানো হয়। পরদিনের ৩০ মিনিট ভেইপিং সেশন ছিল নিকোটিনহীন। গড়ে ২৬ বছর বয়সী এই দলের প্রত্যেকেই ধূমপায়ী, তবে কেউই দৈনিক ১০টি সিগারেট খেতেন না। সেশনের পরপরই তাঁদের রক্তচাপ, হৃৎচাপ ও ধমনির সক্রিয়তা পরীক্ষা করা হয়।
নিকোটিনযুক্ত ভেইপ গ্রহণ করার ফলে সব সময়ই দলটির রক্তচাপ বেড়েছে। ধমনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ম্যাগনাস ল্যান্ডবাক বলেন, ‘নিকোটিনের জন্যই ধমনিতে অস্বাভাবিক শক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।’ ই-সিগারেট এ ক্ষেত্রে সাধারণ সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে। কারণ, ধূমপায়ীরা সিগারেটে যতবার টান দিতেন, তার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ধোঁয়া টেনে নিচ্ছেন ভেইপের মাধ্যমে।
ধোঁয়ার অভ্যাসটা একেবারে না ছাড়লে কোনোভাবেই আর মুক্তি নেই। ধূমপান তাই পুরোপুরিই ছেড়ে দেওয়া ভালো।
সূত্র: এএনআই।