g ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু রয়েছে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ২৭শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ১২ই ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ভোলায় চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু রয়েছে

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ২৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশুর মজুদ রয়েছে। এবছর কোরবানির জন্য সম্ভাব্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৯২৬টি পশু। আর মজুদ রয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৭৭০ গরু, ছাগল ও মহিষ। জেলার মোট ১৩’শ ৭৫টি খামারে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে গরু মোটা-তাজা করা হচ্ছে। এর বাইরেও পারিবারিকভাবে জেলায় প্রচুর গরু-ছাগল প্রতিপালন করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহম্মদ আলমগীর বলেন, গত কোরবানিতে জেলায় ৯৩ হাজার ২৫৬টি পশু জবাই করা হয়েছে। এবছর গরু-ছাগলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে সম্ভাব্য প্রায় এক লাখ ধরা হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে খামারগুলোতে পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। অধিকাংশ খামারেই কাঁচা সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয়।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলার ২২০টি খামারে ১৬ হাজার ৮৭০টি পশু রয়েছে। দৌলতখানে ১৪৫টি খামারে পালন করা হচ্ছে ১৪ হাজার ৩৮৭টি গরু। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১২৭টি খামারে ১৩ হাজার ৬৩৪ টি পশু। তজুমুদ্দিনে আট হাজার ৫৪৩টি হৃষ্টপুষ্ট পশু পালন হচ্ছে ২৪২টি খামারে।

একইভাবে লালমোহনে ২১৫টি খামারে ১৪ হাজার ৯৫৫টি গরু আছে। চরফ্যাসনে মোটাতাজাকরণ হচ্ছে ৩৪৫টি খামারে ২৯ হাজার ৫১৬টি প্রাণি। মনপুরা উপজেলায় চার হাজার ৭১৯টি গরু রয়েছে ৮১টি খামারে। সবুজ ঘাস, দানাদার খাদ্য, ভাত, খরের সাথে ইউরিয়াসহ সুষম খাবার খায়ানো হচ্ছে এসব খামারে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দীনেশ চন্দ্র মজুমদার জানান, সাধারণত ৫টির বেশি গরু রয়েছে এমন খামারকেই প্রাণিসম্পদ খামার হিসেবে গণ্য করে। গরু হৃষ্টপুষ্ট করা হয় দুই পদ্ধতিতে। একটি হলো ২-৩টি গরু পালন, অন্যটি খামার পদ্ধতি। প্রথম পদ্ধতিতে গরুর আকর্ষণীয় রং, শিং, চুট, খাবারের অভাবে দুর্বল কিন্তু রোগে আক্রান্ত নয় এসব গরু কিনতে বলা হচ্ছে পালনকারীকে। কারণ এসব গরু একটু যত্ন ও উন্নত খাবার পেলে মোটাতাজা হয়ে ওঠে।

তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় পন্থায় মূলত খামারে গরু পালন বুঝায়। এসব গরুকে সবুজ ঘাস, খৈল ভুসির পাশাপাশি ইউরিয়া সার-চিটাগুড়-খড় মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। খামারি গরুর বাইরেও প্রচুরসংখ্যক গরু-ছাগল রয়েছে জেলায়। অনেকেই কোরবানি উপলক্ষে সেসব পশু বিক্রি করবেন হাটে। জেলায় এই খাতে প্রায় ২৫ ভাগ মানুষ জড়িত রয়েছেন বলে জানান এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহম্মদ আলমগীর আরো বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত গরুর মজুদ থাকায় ইন্ডিয়া থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন হয় না। তবে কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা কিছু বড় গরু ভোলায় আনেন বিক্রির জন্য। এছাড়া এখান থেকে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরু বিক্রি করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলায় মোট তিন লাখ ৪১ হাজার ৯০০টি গরু, এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৩২টি ছাগল, মহিষ ৭৮ হাজার ২৩১টি ও ১৪ হাজার ৬২৭টি ভেড়া পালন করা হচ্ছে। জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৬৭টি চর রয়েছে। এসব চরে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর সবুজ ঘাস হয়। তাই যুগ যুগ ধরে হাজার গরু-ছাগল, মহিষ পালন করা হয় চরগুলোতে।

এ জাতীয় আরও খবর