ভারতের চেয়েও ক্রিকেট উন্মাদনা বেশি বাংলাদেশে
---
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাই করার হুংকার সিরিজ শুরুর অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। জবাবে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু খুব একটা উচ্চবাচ্য করছে না। বাংলাদেশকে পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে সফরকারীদের শিবিরে। এই যে দৃশ্যপট, ১১ বছর আগে কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছে?
২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের দল যখন এসেছিল, প্রতিপক্ষকে তখন হুংকার দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না বাংলাদেশ দল। সময় সবকিছু পাল্টে দেয়। সেই নিয়মে পাল্টেছে বাংলাদেশ দলও। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয়েছে? কীভাবে দেশের মাঠে শক্তিশালী এক দল হিসেবে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ?
বদলে যাওয়ার এ ধারাবাহিকতায় যাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য, সেই সাকিব আল হাসান জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার গল্প, ‘এটা তৃপ্ত হওয়ার মতো ব্যাপার। সবারই কৃতিত্ব আছে। শুধু খেলোয়াড় নয়, প্রশাসন, সাপোর্টিং স্টাফ, যত বিদেশি কোচ এসেছেন, এমনকি বল বয় যেভাবে সহায়তা করে, সবার সমন্বয় না থাকলে আমরা এত দূর আসতে পারতাম না। এমনকি আপনারা সংবাদমাধ্যম কিংবা দর্শক—সবার সহায়তা না থাকলে আমরা এত দূর আসতে পারতাম না। আমাদের দেশে ক্রিকেটকে সবাই যেভাবে পছন্দ করে, এখন ভারতেও মনে হয় না সেভাবে পছন্দ করে। বাংলাদেশে সবার আগে এখন ক্রিকেট। এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবার টেস্ট ‘অভিষেক’ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান দলটার। একই কথা প্রযোজ্য স্টিভেন স্মিথের দলের ক্ষেত্রেও। একে অপরের বিপক্ষে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই দুই দলের কোনো খেলোয়াড়েরই। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১ বছরের মাথায় এসে একটা দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়ায় উপলক্ষটা বেশ হতাশার হলেও সাকিব কিন্তু রোমাঞ্চিত, ‘ওদের সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলতে যাচ্ছি, একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। মাঝেমধ্যে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ হয়েছে। এখনো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড টেস্টকে যেভাবে মূল্যায়ন করে, সেটা আর কোনো দল করে না। আমাদের দলের সবার প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা। পুরো দলেরই তাই অভিষেক হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।’
উপমহাদেশে এমনিতে স্পিনারদের বিপক্ষে নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস অস্ট্রেলিয়ার। সাকিবের চাওয়া, এবারও যেন এই ধারাটা অব্যাহত থাকে স্মিথদের! তবে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণকেও হালকা করে দেখার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। তবুও সাকিব মনে করেন, দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণই এগিয়ে, ‘নিজেদের দেশে আমাদের স্পিন আক্রমণই এগিয়ে। অনেক দিন ধরেই মিরাজ-তাইজুল ভালো বোলিং করছে। ওদের ওপর আমরা অনেক ভরসা রাখি। টেস্টে ওরা দলকে জেতাতে বড় অবদান রাখে।’
অনুজ দুই সতীর্থ তাইজুল-মিরাজের কথা বললেও সাকিব কিন্তু নিজের কথা বলেননি। অবশ্য মুখে বলার দরকার কী? হাতে তো বল থাকবেই!

মিরপুরে বাংলাদেশ ১৫; অস্ট্রেলিয়া ০