সিদ্দিকুরের চিকিৎসার দায়িত্ব ডিএমপির কাঁধেই বর্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পুলিশের টিয়ারশেলে’ চোখ হারাতে বসা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব ডিএমপির কাঁধেই বর্তায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিদ্দিকুর আহত হওয়ার একটি ভিডিও মন্তব্যের অপশনে শেয়ার করেন তিনি।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু দেয়া হল:
‘কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না! ভিডিওটি যতবার দেখছি, কষ্ট হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে!
শাহবাগের রাজপথে পুলিশ আর ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের সংখ্যা প্রায় সমান। ছাত্ররা সবাই নিরস্ত্র, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এর অভিপ্রায়ে ব্যানার হাতে ঠায় দাঁড়ানো। পুলিশ ওদের সরে যেতে বলে একটু আগাতেই সবাই সরে যাচ্ছিলো, বিনা বাঁধাতেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আশংকাও ছিলো না। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে লাঠিচার্জও প্রয়োজন হয় না, সেখানে একদম ২/৩ গজ দূরত্ব থেকে ছাত্রদের লক্ষ্য করে একটি টিয়ার গ্যাসের শেল মারার হেতু কি!!!
ধরে নিলাম, টিয়ার শেল প্রয়োজন ছিলো। আমার জানা মতে, ক্রাউড কন্ট্রোলে সেটা উপরের দিকে মারতে হয়, উদ্দেশ্য ভারী-গরম সেল যেন কাউকে আহত না করে, সেল মাটিতে পরে গ্যাস ছড়িয়ে পরলে এর কটুতা ও তীব্রতায় সবাই সরে যেতে বাধ্য!
এ ক্ষেত্রে সরাসরি মারা হলো কেন? কেবল একজন মেরেছে, কে মারলো? কার নির্দেশে?? উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সিদ্দিকের চোখ গালিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র নয় তো??
অনতিবিলম্বে, পুলিশ বিভাগীয় ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার! যে শেল মেরেছে, তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হোক, ঘটনার আগে-পরে ঐ পুলিশ সদস্যের ফোনালাপ এর রেকর্ডিং সংগ্রহ করা হোক। পিছনের ইন্ধনদাতা কে, তা খুঁজে বের করা হোক! পলিটিকাল ছেলেতো, না চাইতেও অনেক কিছুতেই রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাই!
আর হ্যাঁ, ষড়যন্ত্র হোক, আর নাই হোক। বিনা উস্কানিতে ছাত্রদের উপর এমন প্রাণঘাতী একশন কোন ভাবেই জাস্টিফাই করার সুযোগ নেই। ডিএমপিকে এর দায় নিতেই হবে। পিতৃহারা ছেলেটার চোখদুটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গ্যাছে। ওর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ সিদ্দিকের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান এর দায়িত্ব ডিএমপি পুলিশের কাঁধেই বর্তায়।
প্রত্যাশা রাখি, সম্মানিত ডিএমপি কমিশনার মহোদয় সে দায় গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য না করে মানবিকতার পরিচয় দেবেন!
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিদ্দিকের পাশে আছে।’