g দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় ও স্থান | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় ও স্থান

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৩, ২০১৭

---

দোয়া হল ইবাদাতের মজ্জা বা আসল। যে ইবাদাতে দোয়া করা হয় না সেটা অপূর্ণাঙ্গ। আল্লাহর অসন্তুষ্টি। স্বয়ং আল্লাহ নারাজ হন যদি বান্দা তার কাছে না চায়। এক হাদিসে এসেছে, বান্দার সব দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন। যতক্ষণ না সে বলে, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম কিন্তু আল্লাহ কবুল করলেন না। এ কথা বললে তার দোয়া আর কবুল করা হয় না। তবে অনেক সময় বান্দা যা কিছু তা দুনিয়াতে দেন না অথবা দিতে বিলম্ব করেন। এখানে অনেক বড় হেকমত লুকায়িত রয়েছে। হয়ত আল্লাহর অসীম জ্ঞানে থাকে যে এখন বান্দার কাক্সিক্ষত বস্তু দেওয়া হলে তা বান্দারই ক্ষতিকর। ফলে আল্লাহ তা দুনিয়াতে আর দেননা ।বরং এর প্রতিদান কিয়ামতের দিন বান্দার কাক্সিক্ষত বস্তুর চেয়েও উত্তম বস্তু তাকে দিবেন। অনেক সময় দিতে বিলম্ব করেন। এখানে হেকমত হয়ত এখন দিলে বান্দার জন্য অকল্যাণ বা ক্ষতির কারণ হবে, কারণ বান্দা তো তার ভবিষ্যতের বিষয় জানে না কিন্তু আল্লাহ তো তা জানেন।
এছাড়াও হাদীস শরীফে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র সময়ে দোয়া কবুলের কথা বলা হয়েছে। দুরুদ পড়ে দোয়া। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে (বুখারী-১১৪৫) সিজদাহর সময়ে। প্রত্যেক ফরজ সালাতের শেষাংশে (বুখারী ১৩৭৭) আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়। কদরের রাতে (বুখারী-৩৫) জিলহজ্জ্ব মাসের ১ম ও ১০ দিন। পিতামাতার দোয়া (আবু দাউদ-১৫৩৬, মজলুম ও নির্যাতিত ব্যক্তি। মুসাফিরের দোয়া। রোজাদার ব্যক্তির ইফতার সময়কালীন দোয়া। জিহাদের মাঠে শত্রুর মুখোমুখি হলে (আবু দাউদ-২৫৪০) জুম্মার দিন । জমজমের পানি পান করার সময়। আরাফাতের দিনের দোয়া। প্রত্যেক ফরজ ইবাদতের পরে যদি কেউ নফল ইবাদত করে (বুখারী-৬০২১) পিতামাতার জন্য সৎ সন্তানের দোয়া (মুসলিম-৪১১৫)