রেইনট্রিতে ধর্ষিত আরও ২ তরুণীর পরিচয় মিলেছে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বনানী থানায় দায়ের করা মামলার বাদী দুই ছাত্রী ছাড়া আরও দুই তরুণী হোটেল রেইনট্রিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সাতদিন রিমান্ডের চতুর্থ দিনে মামলার আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিম গোয়েন্দাদের এই তথ্য দিয়েছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগকারী দুই ছাত্রীর মতোই অন্য দুই তরুণীকেও একই সময়ে হোটেলে আনা হয়েছিল। ধর্ষণের শিকার অন্য দুই তরুণীর পরিচয় ও অবস্থান জানা গেছে। গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ধর্ষণের শিকার অন্য দুই তরুণীর ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে।
তিনি আরো জানান, তদন্তের প্রয়োজনেই আরও তথ্য নেওয়ার জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে তাদের ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও ধর্ষণের শিকার হয়ে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মান-সম্মান ও প্রাণের ভয়ে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তাদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। এ কারণে তারা ভয় পেয়ে নিজেদের এক রকম লুকিয়ে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, ধর্ষিতা দুই ছাত্রীর একজন ওই ঘটনায় ৬ মে শনিবার রাজধানীর বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেছেন। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ঘটনার ভিডিও করেছেন।
পুলিশ বলছে, সাফাত, নাঈম, সাদমান ও ঢাকার এক সংসদ সদস্যের ছেলে বনানী ১১ নম্বর সড়কে একটি রেস্তোরাঁ চালান। এ ছাড়া তাদের একাধিক সীসা বার রয়েছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দাওয়াত পান তিনি। দিনটি ছিলো ২৮ মার্চ। এক বান্ধবীসহ তিনি বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় তাদের। এরপর রাতভর আটকে রেখে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাদমান সাকিফকে প্রায় দুই বছর ধরে চেনেন ওই ছাত্রী। তার মাধ্যমে সাফাত আহমেদের সঙ্গে তাদের পরিচয়। সেই পরিচয় সূত্র ধরে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তারা দাওয়াত পান।
মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ, দুই ছাত্রীর বন্ধু সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ। প্রতিদিনের সংবাদ