বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন: তদন্তর আগে বাকশক্তি হারালেন রহস্যময় ধনকুবের মুসা বিন শমসের
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের বিতর্কিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন বলে বুধবার শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন। চিঠির সাথে তিনি ডাক্তারের সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছেন। মি. শমশেরের ওই চিঠির একটি কপি বিবিসি বাংলার হাতে এসেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে তিনি দাবি করছেন যে তার মুখের একপাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
তার বাকশক্তি মারাত্মকভাবে লোপ পেয়েছে। তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। সে কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণভাবে পর্যুদস্ত।
ডাক্তার তাকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং বিশ্রাম নিতে বলেছেন বলে ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন। সে কারণে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত দলের সামনে সশরীরে হাজির হতে তিন মাস সময় প্রার্থনা করেন মি. শমসের।
একটি বিলাসবহুল গাড়ির শুল্ক ফাঁকি ও মানিলন্ডারিং-সংক্রান্ত তদন্তর সূত্রে ২০ এপ্রিল মুসা বিন শমসেরের শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। গত ২১ মার্চ শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মি. শমসেরের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়ি আটক করেন বলে ওই দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই গাড়িটি ভুয়া আমদানি দলিল দিয়ে অন্য একটি নম্বর দিয়ে ভোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয় অন্য এক ব্যক্তির নামে। রেজিস্ট্রেশনের সময় গাড়িটির রং সাদা থাকলেও উদ্ধারকৃত গাড়িটি হচ্ছে কালো রংয়ের।
কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এই গাড়ির শুল্ক পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে যে বিল অব এন্ট্রি দেখানো হয়েছে, সেটি ভুয়া। শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২১ মার্চ এই গাড়ি আটক নিয়ে সারাদিন ধরে রীতিমতো নাটক চলে।
মুসা বিন শমসেরকে সে দিন সকাল ৮টায় গাড়িটি হস্তান্তরের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা গাড়িটি ধানমণ্ডিতে এক আত্মীয়র বাড়িতে সরিয়ে ফেলেন। সেখান থেকেই বিকেলে গাড়িটি জব্দ করেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন এবং অর্থপাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক দপ্তর। এ ব্যাপারে মুসা বিন শমসেরের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।