বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির রাজনীতি পোষ্টার ব্যানারে-ই সীমাবদ্ধ ! ক্ষমতাসীনরা একের অধিক প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : বাঞ্ছারামপুরে আগামী ১৬ এপ্রিল দরিয়াদৌলত ও আইয়ূবপযুর ইউপিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রার্থীরা রীতিমতো ইমেজ সংকটে ভুগছে।দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল খালেক দলের আইয়ূবপুর ও দরিয়াদৌলতের যথাক্রমে মো.মনির হোসেন এবং মো.হানিফকে ধড়ে-বেধে প্রার্থী করানো হয়েছে।প্রার্থী সংকট এমন নেতিবাচক ইমেজ থেকে রক্ষা পেতেই তাদের প্রার্থী করানো হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিকরা।
কি কারনে বিএনপির প্রার্থী সংকট বিস্তারিত মুঠোফোনে বলতে রাজী হয়নি সাবেক সাংসদ এম.এ খালেক।
বহুচেষ্টা করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ূবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো.মনির হোসেনকে ৫ দফা ফোন দিয়ে ছবি সংগ্রহ করতে হয়।তিনি বলেন,আমি নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছি।৫/৭ দিন পর ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাবো ।
তবে দরিয়াদৌলতের বিএনপি প্রার্থী মো হানিফ মিয়া কিছুটা সাহসী ও এগিয়ে আছেন প্রচারনায়ও।তিনি দরিয়াদৌলত ইউপির নির্বাচিত যুবদলের সভাপতি।রাজনীতির ভালো ইমেজ রয়েছে। গ্রামের লোকজনও বলছেন তাকে নিয়ে আশা করা যায়। বিগত ১৬ মার্চ আইয়ূবপুর-দরিয়াদৌলতে সরকারদলীয় একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা নিজেদের দলের প্রার্থী দাবী করলে ৯৬২ জন এই প্রথম ই-ভোটিং ডিজিটিাল সিষ্টেমে ভোটাভোটি করে কাউন্সিলিং দ্বারা মনোনীত করা হয়। যদিও ভোট সুষ্ঠু হলেও আগের রাতে কাউন্সিলর সদস্যদের ম্যানেজ করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।তারপরও,চমৎকার নতুন নিয়মে বাঞ্ছারামপুর সংসদ সদস্য ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম এমপি খোদ নিজে উপস্থিত থেকে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত করার পরও, দরিয়াদৌলত থেকে আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী ৬ জন ও আইয়ূবপুর ইউপি থেকে একই দলের আরো জন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।যাতে স্পষ্ট হয়, ১৬ মার্চ প্রার্থীতা মনোনয়নের কাউন্সিল এই ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্যা. তাজ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকটা চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছেন।একাধিক মনোনয়ন জমাদানকারী প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবী করে বলেন, ২ ইউনিয়নে যে প্রার্থী দেয়া হয়েছে তাদের আদৌ কোন জনপ্রিয়তা নেই।তারা ম্যানেজ করা ভোটার কাউন্সিলরদের দ্বারা মনোনীত হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন।