এখনো আতঙ্ক কাটেনি সীতাকুণ্ডবাসীর
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের দুদিনের অভিযান, পুলিশ-জঙ্গিদের গোলাগুলি, আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ গ্রেনেড, বিস্ফোরক, পিস্তল এবং বোমা তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধারের পর থেকে আতঙ্ককে দিন কাটছে সীতাকুণ্ডবাসীর। এসব ঘটনার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তবে পুলিশ বলছে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
বুধবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার সদরের আমিরাবাদ এলাকার ‘সাধন কুটির’ নামে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রেমতলা ‘ছায়ানীড়’ নামে আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় ১৯ ঘণ্টা শ্বারুদ্ধকর অভিযানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফেরণে এক নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়। এতে পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে আত্মীয়স্বজনদের সাথে থাকতে শুরু করেছে। এছাড়াও স্থানীয় দোকনপাট প্রায় সময় বন্ধ থাকে বলে জানা গেছে। অভিযানের চারদিন পরও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও পুরো সীতাকুণ্ড এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে জঙ্গি আতঙ্ক।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, অভিযানের কারণে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের সাহস জোগানো হচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘ছায়ানীড়’ বাড়িটির সামনে পুলিশি পাহারা রয়েছে। বাড়িটির ভিতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে ছায়ানীড় বাড়িটি পুলিশ সিল করে রেখেছেন।
ছায়ানীড় বাড়ির বাসিন্দা আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে বাসায় ঢুকতে না পারায় তার পরিবারের সদস্যদের পাশের আত্মীয়স্বজনের বাসায় পাঠানো হয়েছে। তারা ওই বাসায় এখন থাকছেন।
ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতো বাঁশবাড়িয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম উদ্দিন। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বাড়ি পুলিশ সিল করে রাখায় ঢুকা যাচ্ছে না। যার ফলে তার পরিবারের সদস্যরা গ্রামের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে থাকছেন।
তবে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান জানান, স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ ঘটনার পর থেকে বাড়ি দুটিসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তাছাড়া ওই বাড়ির আশপাশে পুলিশি পাহারা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে ছায়ানীড়ের সেই জঙ্গি আস্তানায়ে ফের তল্লাশি চালিয়ে অবিস্ফোরিত ১৬টি শক্তিশালী বোমাসহ বিপুল পরিমাণের বোমা তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।