সরাইলে যুবলীগের ফের পাল্টা কমিটি
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের ফের পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেছে উপজেলা যুবলীগের একাংশের নেতারা। এ নিয়ে সরাইলে ৪টির মধ্যে দুটি ইউনিয়নে যুবলীগের পাল্টা কমিটি ঘোষিত হয়েছে। সম্প্রতি দু’গ্রুপের সংঘাত এড়াতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪৪ ধারা জারীর ঘটনাও ঘটেছে সরাইলে । তবে উপজেলা যুবলীগের আরেক অংশ পাল্টা কমিটি গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে অবৈধ বলছেন।
দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চুন্টা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন উপজেলা যুবলীগের একাংশের নেতারা (সভাপতি ও সম্পাদক)। তারা ২০ ফেব্রুয়ারি আগের কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও মোঃ মোশারফ হোসেনসহ চার জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি কমিটি যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক)। তাঁরা গত মঙ্গলবার বিকেলে চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনের যুবলীগের সাবেক সম্পাদক সারোয়ার আলম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আল-এমরান, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জজ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মনসুর আহাম্মদকে আহবায়ক আর মোঃ জিল্লুর রহমান, মোঃ রমিজ মিয়া, মাহবুব আলম বাবুল ও রাসেল মিয়াকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের দুই গ্রুপের অনুমোদিত দুই কমিটি ঘোষনা হওয়ায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নতুন কমিটির প্রত্যেকেই নিজেদের বৈধ দাবী করছে। এক কমিটির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আজকে এ জায়গায় পৌঁছেছি। সাংগঠনিক যোগ্যতা দক্ষতা আছে বিধায় উপজেলার নেতৃবৃন্দ আমাকে আহবায়ক করে একটি দিয়েছেন। আমাদের কমিটি বৈধ। কে কি কমিটি করল সেটা দেখবে উপজেলা যুবলীগ। আরেক কমিটির আহবায়ক মনসুর আহম্মেদ বলেন, মনগড়া মত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে উপজেলার দুই নেতা বিএনপি সমর্থক কিছু লোক দিয়ে কমিটি দিয়েছেন।
আমরা ওই কমিটি মানি না, মানব না। আমাদের কমিটিই বৈধ। ৫ সদস্যের সরাইল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শেলভী বলেন, ২ বছর পরও আমাদের কমিটি অনুমোদন পায়নি। এ অবস্থায় কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ছাড়া, জেলা যুবলীগের পরামর্শ ব্যথিত কোন ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত বা অনুমোদন দেওয়ার বিধান সভাপতি ও সম্পাদকের নেই (যুবলীগের গঠনতন্ত্র-ধারা-২৩)। এ ছাড়া ২ বছর ৩ মাস চলছে তারা ২ জনেই সবকিছু করছেন। কোন বিষয়েই আমাদেরকে কিছু বলছে না। তারা যাদেরকে যুগ্ম আহবায়ক করেছেন তারা সকলেই আওয়ামীলীগ করে কিনা আমি সন্দিহান। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দ্বারা একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন মন্তু বলেন, সভাপতি ও সম্পাদক মিলে কমিটি দিয়েছি। এর বাহিরে কারো কমিটি দেওয়ার বিধান নেই। পাল্টা কমিটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। এইমাত্র শুনলাম। এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি না।