নবীনগরে ডাবল মার্ডার তদন্ত করছে পুলিশ ! কথিত ডাকাতি মামলার বাদী এখন লাপার্তা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নবীনগরে গণপিটুনীতে নিহত দুই জনের হত্যা কান্ডের ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ গলদ-গরর্ম খাচ্ছে। কি কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা এখনো বের করতে পারেনি পুলিশ। কিন্তু যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ডাকাতি করতে এসে গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে দাবী করছে জগন্নাথ পুরের সেন্টু মিয়া। চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের পর পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। আলোচনায় আসে মটর সাইকেল চুরির ঘটনা মীমাংসা করতে নিয়ে তাদের ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জগন্নাথপুরে সেন্টু মিয়া দাবী করছে ডাকাতির করতে এসে গণপিটুনীতে তারা নিহত হয়েছে। এই নিয়ে সে একটি হত্যা মামলা ও দায়ের করেছে। পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে দায়ের করেছে হত্যা মামলা। নিহত এনামূলের স্ত্রীও বেশ কয়জনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করেছে একটি হত্যা মামলা। তিনটি মামলাকে সামনে রেখে পুলিশ তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সত্যিই ডাকাত নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তবে থানায় ডাকাতির ঘটনায় দায়ের মামলা বাদী সেন্টু মেম্বার ও কামাল সহ তার ঘটনায় জড়িত সহযোগিরা অনেকটা ঘাঠাকা দিয়েছে। স্হানীয় সূএে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত হত্যা কান্ড চালিয়েছে।
নবীনগর থানার(ওসি) তদন্ত মেজবাহ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার দুই দিক সামনে এখন এসেছে। আমরা তদন্ত করে যে দিকটা সঠিক পাব ঠিক সেভাবেই কাজ করব। ঘটনার দিন রাতেই সেন্টু মেম্বার থানায় এসে বলেছে তার বাড়ীতে ডাকাতি করতে এসে গণপিটুনীতে এনামূল ও ইয়াছিন মারা যায় বলে সে বাদী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত লোকদের গণপিটুনীতে তারা মারা যায় মর্মে থানায় মামলা করেন । নিহত এনামূলের স্ত্রী বাদী হয়ে কয়েকজনের নামসহ অজ্ঞাত আরো আসামি করে থানায় মামলা করেন।তদন্তের স্বার্থে সব কিছু এখনি বলা যাচ্ছেনা।