বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ ১৩৩/২
---
সকালের সেশনে বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং ছিল বিবর্ণ। রান উঠেছে বানের জলের মতো। তবে দ্বিতীয় সেশনেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট, শ্রীলঙ্কা থামে পাঁচশর নীচে। বোলিংয়ে দারুণ শেষের পর ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের রেকর্ড জুটি। শেষ স্বস্তি উধাও শেষ বিকেলে। পরপর আউট তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক!
মুমিনুল যখন ফিরলেন, দিনের খেলা বাকি পাঁচ ওভার। কিন্তু নাইটওয়াচম্যান নন, ব্যাট হাতে নামলেন স্বয়ং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। একটু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি আর কোনো বিপদ। দিনটি পার করে দিয়েছেন মুশফিক ও সৌম্য।
শেষ ওভারে সিঙ্গেলের সুযোগ পেয়েও নেননি সৌম্য। অধিনায়ককে আগলে রেখে নিজে খেলেছেন শেষ দুই বল।
দিন শেষে সৌম্য অপরাজিত ৬৬ রানে। ১ রানে অপরাজিত মুশফিক। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষকরেছে ২ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে।
পরের টেস্টের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন চোট কাটিয়ে ফেরা ইমরুল কায়েস। সৌম্য সরকারের ওপর ছিল চাপ। দারুণ খেলে দলকে শুধু ভালো সূচনাই এনে দেননি, সৌম্য নিশ্চিত করলেন নিজের জায়গা ধরে রাখাও।
একটির পর আরেকটি
বড় জুটির পর একটি উইকেটের পতন ডেকে আনে আরও উইকেট। ক্রিকেট অনেকবারই দেখেছে এটি। দেখল আরও একবার। অদ্ভুত রান আউটে ফিরলেন তামিম ইকবাল। খানিক পরই ফিরলেন মুমিনুল হক।
বারবারই ব্যাকফুটে থেকে বিপজ্জনকভাবে খেলছিলেন মুমিনুল। কাল হলো সেটিই। দিলরুয়ান পেরেরার বলটি ছিল দারুণ। মুমিনুল পারলেন না ব্যাটে-বলে করতে। উইকেটের সামনে আটকে রইল পা, নিশ্চিত এলবিডব্লিউ ৭ রানে। বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ১২৭।
‘ভুল বুঝে’ তামিমের বিদায়
লেগ স্টাম্পে জোরের ওপর করা লাকশান সান্দাকানের বল। তামিম চেয়েছিলেন ব্যাটে-বলে করতে, হয়নি। কিপার বল ধরেই জোড়ালো আবেদন! কিন্তু হুট করেই রান নিতে ছুটলেন তামিম!
বল ছিল কিপারের গ্লাভসেই। তামিম ভাবলেন বল বুঝি চলে গেছে দূরে। যতক্ষণে ভুল বুঝতে পারলেন বেলস উড়িয়ে তখন নিজেও আনন্দে উড়ছেন কিপার ডিকভেলা।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার যখন গড়ছেন দারুণ এক জুটি, লঙ্কানরা যখন উপায় পাচ্ছে না জুটি ভাঙার, তখনই তামিমের উপহার। বিস্ময়কর রান আউটে ফিরলেন ৫৭ রানে।
আগের টেস্টেও ভারতে বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানআউট হয়েছিলেন তামিম।
বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১২১। সৌম্য উইকেটে ৬০ রান নিয়ে।
অপেক্ষা ছিল তিনটি মাইলফলকের। দলের রান এগোচ্ছিল শতরানের দিকে। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার, দুজনই ছিলেন অর্ধশতকের কাছাকাছি। শেষ পর্যন্ত ‘জিতলেন’ সৌম্য। আগে ছুঁলেন অর্ধশতক।
ওই ওভারেই এল দলের শতরান। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তো বটেই, শ্রীলঙ্কা বিপক্ষেই এটি বাংলাদেশের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি।
এর আগে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটি ছিল ৯১। ২০১৩ সালে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওই জুটি গড়েছিলেন তামিম ও জহুরুল ইসলাম।
শুরু থেকে রানের দৌড়ে তামিমের পেছনে ছিলেন সৌম্য। অর্ধশতকের কাছে গিয়ে সৌম্য গেলেন ছাড়িয়ে। দিলরুয়ান পেরেরাকে ওড়ালেন মাথার ওপর দিয়ে। পরের ওভারে দারুণ দুটি চার। তামিমের রান তখন ৪৬, সৌম্যর ৪৭। শেষ পর্যন্ত আগে পঞ্চাশও ছুঁলেন সৌম্য, ৮৭ বলে।
সৌম্যর এটি দ্বিতীয় টেস্ট অর্ধশতক। নিউ জিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন প্রথমটি।
পরের ওভারে তামিম ছুঁলেন ২১তম অর্ধশতক। বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ১০২।
দুই ‘জীবনে’ পঞ্চাশ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
৪ রানে জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ২৮ রানে বেঁচে গেলেন তামিম ইকবাল। দিলরুয়ান পেরেরার বলে উইকেটকিপার ডিকভেলা ছেড়েছেন ক্যাচ। খানিকপরই বাংলাদেশের রান স্পর্শ করল পঞ্চাশ।
লাহিরু কুমারার ওই ওভারেই টানা দুটি চারে দলের পঞ্চাশ উদযাপন করলেন তামিম ইকবাল।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৬২। তামিমের রান ৩৭, সৌম্যর ২৫।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে অক্ষত বাংলাদেশ
ক্যাচটি খুব কঠিন ছিল না। গালিতে হাতে পেয়েও ছেড়ে দিলেন দিলরুয়ান পেরেরা। ৪ রানে বেঁচে গেলেন সৌম্য সরকার। আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন আরও দু-একবার। আরেক প্রান্তে তামিম ইকবাল অবশ্য ছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসী।
চা-বিরতির আগে ১০ ওভার টিক গেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দলের রান ৩১। ১৭ রানে খেলছেন তামিম, সৌম্য ১৪।
দুজনেরই প্রথম বাউন্ডারি ছিল ফ্লিক শটে। দুই পেসারের ৫ ওভারের পর স্পিন আক্রমণে আনেন রঙ্গনা হেরাথ। অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাকে ডাউন দা উইকেটে দুটি চারে স্বাগত জানান তামিম।
চা বিরতির আগে বোলিংয়ে আসেনি হেরাথ। শেষ সেশনে তিনিই হয়ত হবেন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সাকিবের প্রথমে শ্রীলঙ্কার শেষ
পঞ্চম উইকেটের অপেক্ষায় ছিলেন মিরাজ। বাংলাদেশ ছিল লঙ্কান ইনিংস শেষে অপেক্ষায়। মিরাজের হাত ধরেই শেষ হলো, তবে মিরাজে পাঁচ হলো না!
সাকিব আল হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন লাকশান সান্দাকান। অনেকটা দৌড়ে দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচ নিলেন মিরাজ। ইনিংসে ১০০ রান দিয়ে সাকিবের একমাত্র উইকেট। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ইতি।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করতে পারল ৪৯৪। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যা ছিল, সেটির বিবেচনায় দারুণ পারফারম্যান্স। ৩৭ রানের মধ্যে শেষ চার উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
১১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার মিরাজ। ব্যাটিং উইকেটে দলকে টানার দায়িত্ব এবার ব্যাটসম্যানদের।
পেরেরা-বাধা সরালেন মিরাজ
লাঞ্চের পর নিয়মিতই উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা। সেই বাধা সরালেন মিরাজ।
অফ-মিডলে থাকা সোজা বল সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি পেরেরা। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি এলবিডব্লিউ থেকে। ফিরেছেন ৫১ রানে।
মিরাজের এটি ইনিংসে চতুর্থ উইকেট। শ্রীলঙ্কার রান ৯ উইকেটে ৪৯৪।
রান আউট লাকমল, পেরেরার ফিফটি
সাকিবের বল খেলেই ছুটেছিলেন সুরাঙ্গা লাকমল। কিন্তু অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান ঠায় দাঁড়িয়ে! লাকমল তাই ফিরলেন রান আউটে। পরের ওভারেই তাসকিনকে চার মেরে দিলরুয়ান পেরেরা তুলে নিয়েছেন তৃতীয় টেস্ট অর্ধশতক। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৮ উইকেটে ৪৮৫।
দারুণ বলে মুস্তাফিজের উইকেট
লাঞ্চের পর দ্রুত সাফল্য খুব জরুরি ছিল বাংলাদেশের। সেটি এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমবারের মত দেখা গেল যেন অস্ত্রোপচারের আগের সেই মুস্তাফিজকে। দারুণ বলে ফেরালেন রঙ্গনা হেরাথকে।
মুস্তাফিজের কাটার লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠে আচমকা। ব্যাটে ওপরের দিকে ছোবল দিয়ে বল যায় প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে।
১৪ রানে ফিরেছেন হেরাথ। শ্রীলঙ্কার রান ৭ উইকেটে ৫৪৭।
সকালেই শ্রীলঙ্কার রান স্রোত
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানই বিদায় নিয়েছেন। তার পরও গল টেস্টের দ্বিতীয় সকালটি শ্রীলঙ্কার। দুটি উইকেট উপহার পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু উপহার দিয়েছে অনেক অনেক রান!
প্রথম সেশনে মাত্র ২৬ ওভারেই শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১২২ রান। ওভারপ্রতি রান এসেছে প্রায় পাঁচ!
সকালে একটি শটে ক্যাচ দিয়েও ছক্কা বানিয়েছেন কুসল মেন্ডিস। সেই মেন্ডিস পরে ফিরেছেন ছক্কার চেষ্টায়ই। ১৯৪ রান থেকে ছক্কায় দুশ ছোঁয়ার চেষ্টায় ধরা পড়েছেন তামিম ইকবালের হাতে।
ওয়ানডের গতিতে ব্যাট করা নিরোশান ডিকভেলাও আউট হয়েছেন বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে। করেছেন ৭৬ বলে ৭৫।
রানের গতিতে অবশ্য বাধ খুব একটা দেয়া যায়নি। উইকেটে গিয়েই মিরাজকে চার মেরেছেন দিলরুয়ান পেরেরা। পরে মিরাজকেই মেরেছেন ছক্কা। লাঞ্চের আগে শুভাশীষের এক ওভারে দুটি চার।
লাঞ্চের সময় শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ৪৪৩। ৩০ রানে অপরাজিত পেরেরা। সঙ্গী অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের ব্যাটের হাত খারাপ না।
বাংলাদেশের সব বোলারই ছিলেন বিবর্ণ। পারেননি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে রান আটকে রাখতেও। শরীরী ভাষা সকাল থেকেই মিইয়ে আছে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বও ছিল রক্ষণাত্মক।
মিরাজের চাতুর্যে ডিকভেলার বিদায়
সকাল থেকেই নিরোশান ডিকভেলা খেলছিলেন আক্রমণাত্মক। ওয়ানডে ব্যাটিংয়ে ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদেরও। আউটও হলেন শট খেলতে গিয়েই।
বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন মিরাজকে। তরুণ অফ স্পিনার সেটি বুঝতে পেরেই বল করলেন একটু টেনে ও ব্যাটসম্যান থেকে দূরে। ডিকভেলা মারলেন অন সাইডে, বল গেল শর্ট থার্ড ম্যানে। মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ। ৭৬ বলে ৭৫ রানে ফিরলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিন সকালেই তিনি করেছেন ৬১ রান!
এর আগে ১৯৪ রানে উইকেট বিলিয়ে ফিরেছেন কুসল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ৪৩২।
ছক্কার চেষ্টায় মেন্ডিসের অক্কা
কুসল মেন্ডিসের নামের পাশে তখন ১৯৪। ধারাভাষ্য কক্ষে ডিন জোনস বলছিলেন, ছক্কা মেরেই কি স্পর্শ করবেন ডাবল সেঞ্চুরি? মেন্ডিস সত্যিই সেই চেষ্টাই করতে গেলেন। বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারলেন মিরাজকে। লং অন সীমানায় দুবারের চেষ্টায় দারুণ ক্যাচ নিলেন তামিম ইকবাল।
আগের সেঞ্চুরিতে গত জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭৬ করেছিলেন মেন্ডিস। এবার ১৯৪। ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা থাকলেও আরেকবার নিজের প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন। দলকে দিয়েছেন দারুণ প্ল্যাটফর্ম।
পঞ্চম উইকেটে মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলা তুলেছেন ১২৪ বলে ১১০ রান। আরেক পাশে ডিকেভলা ছুটছেন তুমুল গতিতে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রঙিন পোশাকে যে ফর্মে ছিলেন, সেটিই বয়ে এনেছেন সাদা পোশাকে। দিনের প্রথম ওভারেই ফ্লিক করে ছক্কা মেরেছিলেন। এরপর কাট, আপার কাট, সুইপ, রিভার্স সুইপে দিশাহারা করছেন বাংলাদেশের বোলারদের।
শ্রীলঙ্কার রান ৫ উইকেটে ৩৯৮। ডিকভেলা অপরাজিত ৬৩ বলে ৬৩ রানে।
সম্ভাব্য ক্যাচ হলো ছক্কা
শুভাশীষ রায়ের শর্ট বলে কুসল মেন্ডিসর হুক। ফাইন লেগ সীমানায় অপেক্ষায় মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে জমালেনও। শুভাশীষ উদযাপনও শুরু করলেন। কিন্তু মুস্তাফিজ যে বল ধরে সীমানার ওপারে! যেটি হতে পারত আউট, সেটিতেই ছক্কা।
পরের বলেই কাভার ফিল্ডারের মিস ফিল্ডিংয়ে আরেকটি চার। দ্বিতীয় দিনের বাংলাদেশের শুরুর চিত্রটা পরিষ্কার এসবেই।
শুরুটাই ছিল বাজে। দিনের প্রথম ওভারেই শুভাশীষকে দারুণ এক ফ্লিকে ছক্কা মারেন নিরোশান ডিকভেলা। মুস্তাফিজ আগের দিনের চেয়ে একটু ভালো বোলিং করেছেন। তবে খুব প্রভাব ফেলার মত নয়। আগের দিনের সেরা বোলার শুভাশীষও ভীষণ বিবর্ণ। মেন্ডিস ও ডিকভেলার জুটি তাই এগিয়ে যায় দারুণ গতিতে।
দিনের প্রথম ৮ ওভারে রান এসেছে ৩৭। শ্রীলঙ্কার রান ৯৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৫৮। ১৮৫ রানে অপরাজিত মেন্ডিস। তার আগের ক্যারিয়ার সেরা ছিল ১৭৬। ডিকভেলার রান ৩২।
মেন্ডিসে ভরসা, মেন্ডিসই বাধা
প্রথম দিনের খেলা শেষে রঙ্গনা হেরাথ বলেছিলেন, কুসল মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলার জুটিতেই তাকিয়ে তাদের দল। যত বেশি সম্ভব রান করতে চান তারা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধাও এই মেন্ডিস। দিন শুরু করছেন ১৬৬ রান নিয়ে।
এই জুটি ভাঙা বাংলাদেশের জন্য জরুরি। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি এটিই।
প্রথম দিন শেষে স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩২১/৪ (করুনারত্নে ৩০, থারাঙ্গা ৪, মেন্ডিস ১৬৬*, চান্দিমাল ৫, গুনারত্নে ৮৫, ডিকভেলা ১৪*; মুস্তাফিজ ১/৫০, তাসকিন ১/৪৮, শুভাশীষ ১/৫৮, মিরাজ ১/৬৬, সাকিব ০/৭১, সৌম্য ০/৯, মাহমুদউল্লাহ ০/১০)