ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ হাসিনার নামে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ হাসিনার নামে পৃথক দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত পৃথক দুটি আইনের খসড়া আজ সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হবে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আর নেত্রকোনা সদরে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম এ বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠা করা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে শিক্ষাসহ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন, জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যার কার্যকর ও ব্যয় সাশ্রয়ী সমাধান উদ্ভাবন করতে দক্ষ গবেষক তৈরি এবং একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ওই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এর অংশ হিসেবে জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে।
আর নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এটিকে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নামে সাধারণ শিক্ষাবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ওই উপজেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় জমি আছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।