আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় আরও ৫টি গ্রেনেড
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আশকোনায় ‘সূর্য ভিলা’ নামে বাড়িটিতে আজ রোববারও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে কাজ শুরু করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোসাল টিম।
পুলিশ বলছে, বাড়িটির যে ঘরে নিহত ‘জঙ্গি’ কিশোর আফিফ কাদরীর লাশ রয়েছে, সেখানে পাঁচটি গ্রেনেড রয়েছে। এর মধ্যে দুটি গ্রেনেড বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন জানান, দুটি গ্রেনেডের পিন খোলা রয়েছে। ওই কক্ষের খাটের পাশে একটি গ্রেনেড আছে। আরেকটি গ্রেনেড রয়েছে ড্রেসিং টেবিলের ওপরে।
তিনি আরও জানান, জানালা দিয়ে দেখা গেছে, ওই কক্ষের দরজা দিয়ে ঢুকলে হাতের বাঁ পাশে একটি সুইসাইডাল ভেস্ট পড়ে আছে। আরেকটি সুইসাইডাল ভেস্ট পড়ে আছে কিশোরের লাশের পাশে। রান্নাঘরের তাকের ওপরও একটি গ্রেনেড দেখা গেছে।
ছানোয়ার হোসেন জানান, খুব সতর্কতার সঙ্গে তারা কাজ করছেন। কোন গ্রেনেড কী অবস্থায় আছে বুঝতে পারছেন না। বাসার ওই ঘরটি অনেকটা মৃত্যুফাঁদের মতো হয়ে রয়েছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন ডিভিশনের উপকমিশনার (ডিসি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার সাংবাদিকদের বলেন, ভেতরে গ্যাস থাকার কারণে গতকাল শনিবার তারা বাসার দুটি কক্ষে ঢুকতে পেরেছেন। একটিতে পারেননি। এখন তাদের প্রাথমিক কাজ হলো, গ্যাস দূর করা।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস দূর করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। এরপর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ করবে। এরপরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজমের ক্রাইম ইউনিট কাজ করবে। সবশেষে পুলিশ লাশ নিয়ে যাবে।
গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ১৬ ঘণ্টা ধরে ওই বাড়ি ঘিরে অভিযান চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। ‘অপারেশন রিপল ২৪’ নামে ওই অভিযানে নিহত হন দুই ‘জঙ্গি’। তাদের মধ্যে এক নারী ‘জঙ্গি’ আত্মঘাতী হন। আত্মসমর্পণ করেন দুই শিশুসহ দুই নারী। আহত এক শিশু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।