g ঢাকার কাছাকাছি বেড়াতে যাওয়ার দারুণ কয়েকটি স্থান | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঢাকার কাছাকাছি বেড়াতে যাওয়ার দারুণ কয়েকটি স্থান

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ১০, ২০১৬

---

একটু অবসর চাই, বেড়াতে যেতে চাচ্ছেন কোথাও? কিন্তু হাতে লম্বা সময় নেই দূরে কোথাও যাওয়ার! টেনশনের কিচ্ছু নেই। ঢাকা সিটির খুব কাছাকাছিই রয়েছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান। পরিবারসহ ঘুরে আসতে পারেন সেই জায়গাগুলো থেকে। চাইলে বন্ধুদের নিয়েও বেড়িয়ে আসতে পারেন। আসুন জেনে নেই ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাবার দারুন কিছু জায়গার বিস্তারিত

মেঘনা ভিলেজ

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায়, মেঘনা নদীর কাছে মেঘনা ব্রিজ হতে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেঘনা ভিলেজ। সারাদিনের জন্য পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে খুব সহজে ই ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। আপনি চাইলে রিসোর্ট ভাড়া করে থাকতে পারেন। সেখানে রয়েছে এসি-ননএসি উভয় প্রকার কটেজ। এখানকার কটেজগুলো একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি হয়েছে যা দেখতে অনেকটা নেপালি কটেজের মত। আছে খেলাধুলার সুব্যবস্থা। এমন কি নৌকা ভ্রমণ করতে চাইলে তারও ব্যবস্থা আছে। এখানকারর খাবারে ঘরোয়া স্বাদ পাবেন। আপনি চাইলে শুধু এক দিনের জন্যও কটেজ ভাড়া করতে পারেন। আবার দিনে দিনে গিয়েও ফেরত চলে আসতে পারেন।

 

যেভাবে যাবেন: 

যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড হতে প্রথমে যেতে হবে কাঁচপুর ব্রীজ। সেথান থেকে সোনারগাঁও হয়ে মেঘনা ব্রীজ।

মেঘনা ব্রীজ পার হয়ে বালুকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাম দিকের পথ ধরে ১ কিলোমিটার এগুলোই এই রিসোর্টটির দেখা মিলবে।

এছাড়া আপনি চাইলে রিসোর্টের নিজস্ব গাড়িতে করেও রিসোর্টে যেতে পারবেন। সেজন্য ১,৫০০+ টাকা খরচ পড়বে।

কটেজ ভাড়া

প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত এই রিসোর্টের কটেজগুলো ভাড়া দেওয়া হয়।

  • নন-এসি (ছোট) ২,৩০০ টাকা
  • নন-এসি (বড়) ২,৯০০ টাকা
  • এসি (ডিলাক্স) ৪,০২৫ টাকা
  • এসি (প্রিমিয়ার) ৪,৬০০ টাকা
  • এসি (ভিআইপি) ৫,২০০ টাকা

 

মোহাম্মদী গার্ডেন

ঢাকার খুব কাছে অবস্থিত মোহাম্মদী গার্ডেন। ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাই মহিষাশীতে অবস্থিত মোহাম্মদী গার্ডেন। ঢাকার কাছে এত সুন্দর একটা বিনোদনের কেন্দ্র আছে না দেখলে বোঝা যাবে না। গার্ডেনের ভেতরে রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে ভেসে বেড়াছে কাঠের হাঁস, মাটির শাপলা, নৌকা। পানির ওপরের তৈরি হয়েছে তিনতলা বাড়ি। পুকুরের চারপাশে রয়েছে ফুল ফলের বাগান। শিশুদের জন্য রয়েছে ট্রেন, স্লিপার, নাগরদোলা, নৌকা, দোলনা ইত্যাদি। হরিণ, বানর, কবুতর বিভিন্ন প্রাজাতির প্রানীর দেখা মিলবে এই গার্ডেনে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল এখানকার ব্রিজ। পার্কের চারপাশে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া রয়েছে। তাই নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা গাবতলী বাসষ্ট্যান্ড হইতে সাভার নবীনগর স্মৃতিশৌধ পার হয়ে কালামপুর বাসষ্ট্যান্ড এসে ডান দিকে মোড় নিয়ে মহিষাশী বাজার।
কনট্যাক পারসন, ব্যাবস্থাপক, হুমায়ুন মিয়া – ০১৭১৮ ৭৭১১৫৫, / সাইফুল ইসলাম – ০১৭১৫ ০৪৩৪১৬

সুবিধা সমূহ:
১। ঢাকা হতে মোহাম্মদী গার্ডেন পর্যন্ত সম্পূর্ণ পাকা রাস্তা
২। গাড়ী পার্কিং ব্যাবস্থা আছে
৩। সম্পূর্ণ গার্ডেন পাকা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।
৪। এসি এবং নন এসি রুম এর ব্যবস্থা
৫। ইলেকট্রিসিটি ও জেনারেটরের এর সু-ব্যবস্থা আছে।
৬। পিকনিকের জন্য ৪ টি স্পট ভাড়া দেওয়া হয়।

 

ড্রিম হলিডে পার্ক

ফ্রান্টাসি কিংডম, নন্দন, ওয়াটার কিংডম এর নাম তো আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু ঢাকার কাছে বিশ্বমানের থিম পার্ক ড্রিম হলিডের কথা কি আমরা জানি? ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাবাতে মনোরম এই পার্কটির অবস্থান। ৬০ একর জমির ওপর নির্মিত এ পার্কে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইডার- ট্রেন, ওয়াটার বাম্পার কার, বাইসাইকেল, রকিং বর্স, জেড ফাইটার, স্পিডবোট, সোয়ানবোট, নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল। এছাড়া রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট,কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, কৃত্রিম হিমালয় পর্বত। যেখানে বসবাস করছে ২০ টিরও বেশী ভূত। ইতালি থেকে আনা হয়েছে ভূতগুলো। পাশাপাশি যোগ করা হয়েছে ওয়াটার পুল। পুলে দাঁড়িয়ে কান পাতলে শোনা যাবে সমুদ্রের গর্জন।

কীভাবে যাবেন :

রাজধানী ঢাকার কমলাপুর, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায়। ৩০ মিনিট পরপর বাস পাবেন। আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর ও মহানগর গোধূলী ট্রেনেও যেতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামের যেকোনো লোকাল ট্রেনে যাওয়া যেতে পারে। আন্তঃনগর ট্রেনে গেলে নরসিংদী স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যেতে হবে। আর লোকাল ট্রেনে গেলে নরসিংদী স্টেশন ছাড়া ঘোড়াশাল স্টেশনেও নামতে পারেন। সেখান থেকে বাসে যেতে হবে।

এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট বিভাগের যে কোনো বাসে উঠলেই এ পার্কে পৌঁছানো যাবে। কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ।

যোগাযোগ :

ফোন: ৯৫৬৪০৪৬, ৯৫৭০১৪০-৪১, ৭৬৩০২২৫
মোবাইল ০১৭১২-১৪৫৮৪৯, ০১৭২১-৪৯০৪২০

উয়ারী-বটেশ্বরঃ

ইতিহাস আপানার পছন্দ! আগ্রহ আছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ে তবে ঘুরে আসতে পারেন উয়ারী-বটেশ্বর থেকে। নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবিস্থত উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ। অসম রাজার গড় নামে এটি সমাধিক পরিচিত। এখানে প্রায় তিন হাজার পূর্বের প্রাচীন শিলালিপি মূদ্রাসহ সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখানে পর্যটকদের জন্য রেষ্ট হাউজ রয়েছে। এখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে তাম্র প্রসার যুগ, আদি-ঐতিহাসিক যুগ, প্রাক মধ্যযুগের সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। মাটির একটি ঘরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি হয়েছে একটি প্রত্নসংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার। আর এইসংগ্রহশালায় রক্ষিত আছে খ্রীষ্টপূর্বসময়ের মূল্যবান কিছু প্রত্নতাত্ত্বিকনিদর্শন।

কিভাবে যাবেনঃ

সায়দাবাদ থেকে ভৈরবগামী যে কোন বাসে চড়ে নেমে পড়বেন মরজাল বাজারে, তারপর সেখান থেকে রিকশায়- সবাই জানে খননকার্য কোথায় চলে; তবে আগে থেকে অবশ্যই জেনে যাবেন খননকার্য শুরু হয়েছে কী না- নইলে মাটির তলার ঐশ্বর্য না দেখে মাটির উপর থেকেই ফিরে আসতে হবে!

জল জংগলের কাব্য

গাজিপুর জেলার টংগীর পুবাইলে অবস্থিত জল জংগলের কাব্য রিসোর্ট। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোঁয়ায়। জোছনা দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। বিলের ওপর জোছনার আলো এক অন্য রকম অনুভূতি দিবে আপনাকে। অল্প খরচে সারাদিনের ঘুরে আসার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা হবে না। মাত্র ২০০০ টাকা দুপুর, রাত, সকালের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়। শুধু দুপুরও রাতের খাবার নেবে ১৫০০ টাকা।


যেভাবে যাবেনঃ
মহাখালি থেকে নরসিংদি বা কালিগন্জগামী যে কোন বাসে উঠুন। ১ ঘন্টা পর পুবাইল কলেজ গেট এলাকায় নেমে পড়ুন। ভাড়া নেবে ৪০ টাকা। এরপর একটা ব্যাটারীচালিত রিক্সায় করে পাইলট বাড়ি। গেলে এসে ফোন করুন, গেট খুলে দেবে। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে।

খরচঃ
এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ২০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার সহ। শুধু দুপুর ও রাতে খাবার সহ ১৫০০ টাকা।

যোগাযোগ – ০১৯১৯৭৮২২৪৫

জল জঙ্গলের কাব্যর ওই টাকার মধ্যেই খাবার ব্যবস্থা থাকা। খাবার মেনুগুলো দারনু : ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংশ, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম।

পানাম সিটি

ঢাকার কাছাকাছি পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সোনারগাঁও লোকশিল্প যাদুঘর ও পানাম সিটি । সাপ্তাহিক যেকোন ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও ও পানাম সিটি।

কিভাবে যাবেনঃ
গুলিস্থান থেকে মোগড়া পাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস আছে। সার্ভিস অনুযায়ী জনপ্রতি ভাড়া ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। স্পেশাল বাস গুলো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যায় তাই ভাড়া একটু বেশি হলে ও সময় কম লাগে । মোগড়া পাড়া থেকে সোনারগাঁও লোকশিল্প যাদুঘর পর্যন্ত অটোরিকশায় জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা আর সরাসরি পানাম সিটি গেলে ১৫টাকা । সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প যাদুঘরে জনপ্রতি টিকেট ২০ টাকা এবং পানাম নগরীতে জনপ্রতি ১৫ টাকা টিকেট ।