নিউজ ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে জল-সবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরের ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ নতুনরূপে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মাদ সাঈদ খোকন। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকার শাঁখারী বাজার মোড়ে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬ এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সাঈদ খোকন বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত খেলার মাঠ ও পার্কগুলোকে জলে-সবুজে ঢেকে নবরূপে সাজানো হবে। ইতিমধ্যে ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্ক চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরবাসীর জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য জল-সবুজে ঢাকা নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ৭০ জন স্থপতি এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি হাজারও তখন সমস্যা ছিল। এখন ঢাকা শহর বদলে যাচ্ছে। এ শহর একসময় সুন্দর শহর ছিল- তখন এত মানুষের বসবাস ছিল না। এখন লাখো-কোটি মানুষ বাস করে। ফলে একসময় এ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এখন আবার বসবাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ৩০০ রাস্তা ঘাটের কাজ ধরেছি। বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরের অলিগলি মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে। ঢাকা শহরকে আলোকিত করার জন্য অলিতে-গলিতে ৩৭ হাজার এলইডি লাইট লাগানো হবে। স্বাধীনতা দিবসের আগে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এলইডি লাইট লাগানো হবে। ডিএসসিসির দ্বিতীয় বছর পূর্তি হওয়ার আগেই পুরো ঢাকা আলোকিত হবে- যোগ করেন তিনি। সাঈদ খোকন বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর বিশ্বের বসবাসের অনুপযোগী শহরের মধ্যে ঢাকা ছিলো ১৩৯ নম্বর। তা কমে এখন ১৩৪ নম্বরে এসেছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতায় ঢাকা শহরকে বদলেই ছাড়ব।
ঢাকাকে পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীর সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, আমি ময়লা-আবর্জনা নিয়ে সমস্যায় আছি। রাত-দিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরকে পরিষ্কার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। শীতকাল হওয়ায় ধূলাবালি বেশি হয়েছে। প্রতিদিন সিটি করপোরেশন থেকে ভোর ৬টায় পানি ছিটিয়ে দেওয়া হবে। নগরকে সুন্দর করতে পরিষ্কার রাখতে- আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। এ সময় তিনি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পানি, গ্যাস ময়লা বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন। তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সামাধানের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশও দেন। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস, মো. আ. রহমান মিয়াজীসহ সিটি করপোরেশনের, ওয়াসা, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।