নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০০ ঘর ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান আকন।রোববার বিকেলে কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মাসুদুর রহমান আকন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের হোটেল বা লেপ-তোষকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রায় ৫০০ আধা পাকা ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে অনেকে অভিযোগ করছেন যে, তাদের সন্তান হারিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে চারজন শিশু হারিয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। আরো আসতে পারে। কারণ এ বস্তিতে যারা থাকেন তাদের বেশিরভাগই কর্মজীবী মানুষ। তারা সকালে শিশু সন্তানদের বাসায় রেখে কাজে যান। এ সময়ের ভেতর এ ঘটনা ঘটায় শিশুদের খুঁজে না পাওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। একজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তের পর কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।এর আগে গত ১৪ মার্চ এ বস্তিতে আগুন লাগে। এতে প্রায় অর্ধশত ঘর পুড়ে যায় ও দুজন আহত হন।
সালেহা নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘এতো ক্ষতি পোষামু কেমনে? কয়দিন পরপরই বস্তিতে আগুন লাগে। আমাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নাই?’বস্তিবাসী সোলেমান মোল্লা বলেন, ‘এই বস্তিতে আসার পর কতবার যে আগুন দেখলাম তার কোনো হিসাব নাই। বছরের শুরুতে একবার আগুন লাগল, সেই ক্ষতিই পূরণ হয়নি। এখন আবার আগুন লাগল।’রোববার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সেখানে গিয়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সেখানে ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন ফায়ার ফাইটাররা।