মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : পূর্ব বিরোধের জের ধরে সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৩০ জন। ভাংচুর করা হয়েছে বসত ঘর। বিনষ্ট করা হয়েছে সবজির জমি। শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়া পাড়া ও মোঘলটুলা গ্রামের বাসিন্ধাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, এক বছর পূর্বে একটি রাস্তায় মাটি ফেলানোকে কেন্দ্র করে এ দুই গ্রামের বাসিন্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা ও চলমান রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে বিকাল বাজার থেকে মোঘলটুলা গ্রামের সর্দার মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মাখন মিয়া (৪২) বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শাহ আলম ও নূল আলমের নেতৃত্বে কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে মাখনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাখনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত নূর আলম বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাখন আমার প্রাণনাশের জন্য লোক ভাড়া করেছে। সম্প্রতি জেলা শহরে তারা আমাকে ধাওয়া করেছিল। শনিবার রাতে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মাখনের পক্ষের লোকের আঘাতেই সে আহত হয়েছে। আমি তাকে মারধর করিনি। সর্দার মাখন আহত হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে মোঘলটুলা গ্রামের লোকজন গতকাল সকাল ৮টার দিকে হালুয়া পাড়ার বাসিন্ধাদের উপর হামলা চালায়। ফলে উভয় গ্রামের সহ¯্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে তীর জাতীয় ফলা ও ব্যবহার করেছে তারা। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন হালুয়া পাড়ার সিরাজ মিয়ার সবজির জমির লাউয়ের গাছ গুলো উপড়ে ফেলে। আর নাজিম উদ্দিন ও রতন মাষ্টারের বসত ঘর ভাংচুর করেছে। সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা ও দুই রাউন্ড টিয়ারসেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এক ঘন্টা স্থায়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশুসহ উভয় পক্ষের অন্তত: ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা সদর, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ রুপক কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।