নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার ৭৭ ভাগ স্কুলগামী শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য’ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটি জানায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশে তৈরি পর্নোগ্রাফিগুলোতে যাদের ভিডিও দেখানো হচ্ছে তাদের বয়স ১৮-এর কম।
ফাউন্ডেশনের শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকার ৫০০ স্কুলগামী শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ ভাগ শিশু নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখে। তারা সুস্থ যৌন শিক্ষার বিপরীতে বিকৃত যৌন শিক্ষার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে সম্পর্কিত ২০০ শব্দের ওপর সংরক্ষণ দেয়া আছে। কেউ ওই শব্দগুলো লিখে সার্চ দিলে সার্ভারে নোটিফিকেশন যায়। অনুমোদন ছাড়া ওই সব সাইটে প্রবেশ করা যায় না। বাংলাদেশেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
জানা গেছে, চারটি পদ্ধতিতে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি পর্নোগ্রাফির চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে তৈরি পর্নো ভিডিও মানুষ বেশি দেখছে। এই ভিডিওগুলোতে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ। এর অর্থ ১৮ বছরের নিচে মুঠোফোন ব্যবহার করতে হলে শিশুকে অভিভাবকের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করতে হবে।
অভিভাবকরা শিশুদের দামি মুঠোফোন, ট্যাব ও সেগুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছেন, কিন্তু তারা কী কাজে এগুলো ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে খোঁজ রাখছেন না।