স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। তবে বিদায় বলেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। হয়তো আশা ছিল টি-টোয়েন্টিতে আরো কিছু দিন খেলে যাওয়ার। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে নিজের নামটি না দেখে হয়তো অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আফ্রিদি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
২০১০ সালের পর আর টেস্ট খেলেননি আফ্রিদি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর অবসর নিয়েছিলেন ওয়ানডে থেকেও। খেলছিলেন শুধুই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। সেখানেও বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না সাবেক এই অধিনায়ক। এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে খেলতে পারেনি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। সে সময় অনেক সমালোচনার মুখে পড়লেও অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি আফ্রিদি। এমনকি কয়েক দিন আগেও বলেছিলেন যে, এখনই ভাবছেন না অবসরের কথা, ‘এখন আমি ঘরোয়া ও কাউন্টি ক্রিকেটে ভালো নৈপুণ্য দেখানোর কথা ভাবছি। যখন মনে হবে যে আমি আর খেলতে পারছি না, তখন আমি নিজে থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’
অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আফ্রিদি নিজে অবশ্য এখনো কিছু বলেননি। তাঁর এই অবসরের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটির এক সদস্য। ইচ্ছা অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আফ্রিদি নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন পিসিবির সভাপতি শাহরিয়ার খান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদিই খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। আর মাত্র দুটি ম্যাচ খেললেই প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টি টি-টোয়েন্টি খেলার মাইলফলক গড়তে পারবেন আফ্রিদি। তবে সেই সুযোগ তিনি পাবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। বল হাতেও আফ্রিদি দাঁড়িয়ে আছেন অনন্য এক মাইলফলকের সামনে। আর মাত্র তিনটি উইকেট পেলেই টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন এই লেগস্পিনার। ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতেও আফ্রিদি করেছেন ১৪০৫ রান।