নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল অপারেটর রবি-এয়ারটেল একীভূত হতে বাধা নেই। এ ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে প্রায় চার কোটি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের পরের স্থানেই অবস্থান করবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর একীভূত রবির গ্রাহক হিসেবে পরিচিতি পাবেন দুই বছর পর।
একই সঙ্গে রবির ‘০১৮’ ও এয়ারটেলের ‘১৬৭’ কোডযুক্ত সব নম্বরই আগের মতোই থাকবে।দুই মোবাইল অপারেটর একত্রিত করা সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকীব। রবি-এয়ারটেলের পক্ষে ছিলেন তানজিব-উল আলম। এয়ারটেলের কর্মীদের পক্ষে ছিলেন সাদ সামি আহমেদ।
একীভূত হওয়ার ফি হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআররি) মোট ৬০৭ কোটি টাকা দিতে হবে রবিকে। এর মধ্যে তরঙ্গ ব্যবহার বাবদ ফি হিসেবে ৫০৭ কোটি টাকা ও একীভূতকরণ ফি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দিতে হবে।
এই অর্থ কীভাবে বিটিআরসি রবির কাছ থেকে নেবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার আদালত বিটিআরসির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
বিটিআরসিতে দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, একীভূত কোম্পানিতে রবির ৭৫ শতাংশ আর এয়ারটেলের ২৫ মালিকানা থাকবে। বর্তমানে রবির ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক আজিয়াটা গ্রুপ আর ৮ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক এনটিটি ডোকোমো। এয়ারটেল বাংলাদেশের ১০০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ভারতী এয়ারটেল।
সারা দেশে রবি ও এয়ারটেলের ১০০-এর বেশি নিজস্ব গ্রাহকসেবা কেন্দ্র, ১১ হাজার পরিবেশক ও আড়াই লাখ খুচরা বিক্রেতা এক ছাতার নিচে চলে আসবে। রবি ও এয়ারটেলের মোবাইল টাওয়ার আছে ১৪ হাজারের বেশি, এর মধ্যে রবির টাওয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৭০০ ও এয়ারটেলের সাড়ে ৫ হাজার।
এখনকার রবি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। টেলিকম মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী একে খান গ্রুপের যৌথ অংশীদারির এই কোম্পানি ২০১০ পর্যন্ত একটেল নামে পরিচালিত হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রবি বাংলাদেশে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।