ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ‘ফিরে পাওয়ার’ পর তার সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ তার সঙ্গে কথা বলে এসে এ কথা জানান মীর কাসেমের স্ত্রী খোন্দকার আয়শা খাতুন।
এ কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি আছেন দেশের শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধী।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে কারাগারের গেটে আসেন মীর কাসেমের পরিবারের নয়জন সদস্য। পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।
মীর কাসেমের স্ত্রী খোন্দকার আয়শা খাতুন ছাড়াও দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, দুই পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা ও তহমিনা আক্তার এবং ভাতিজা মো. হাসান জামান খানসহ এ দলে ছিল তিনজন শিশু।
প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সাক্ষাত শেষে চারটার দিকে কারাগারের বাইরে বের হয়ে আসেন তারা।
কারাগেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খোন্দকার আয়শা খাতুন। তিনি দাবি করেন, তাদের ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম ‘নিখোঁজ’ আছেন। তাকে কিছুদিন আগে ‘ধরে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার স্বামী মীর কাসেম আলী তাকে বলেছেন, ছেলে ‘ফিরে না পাওয়া’ পর্যন্ত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি শুধু আমাদের ছেলেই নন, আইনজীবীও। তাই ছেলে ‘ফিরে এলে’ তার সঙ্গে কথা বলেই প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ছেলেকে ‘কাছে পাওয়াই’ এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য বলেও দাবি করেন মীর কাসেমের স্ত্রী।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফাঁসি বহাল রেখে রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় কাশিমপুর কারাগারের ভেতর পড়ে শোনানো হয় মীর কাসেম আলীকে। এ সময় প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি ভাবার জন্য কিছু সময় চান।
এরপর মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যান তার পরিবারের সদস্যরা। রাষ্ট্রপতির কাছে মীর কাসেমের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে এ সাক্ষাত করেন তারা।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, ‘মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যদের কারা কর্তৃপক্ষ ডাকেনি। তারা স্বেচ্ছায় কারাগারে এসেছেন। শুনেছি, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার বিষয়ে মীর কাসেমের সঙ্গে কথা বলেন তারা’।