শনিবার, ২রা মার্চ, ২০১৯ ইং ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকবি প্রয়াণ, বাঙালী জাতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন

Rabindranath-copy-550x304আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণদিবস। মহাকালের চেনা পথ ধরে প্রতিবছর বাইশে শ্রাবণ আসে। এই বাইশে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবীন্দ্রভক্তদের কাছে একটি অনন্য দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ (৭ আগস্ট, ১৯৪১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুরো পৃথিবী চেনে বিশ্বকবি হিসেবে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম রবি ঠাকুরের। তার বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি আমাদের জাতীয় সংগীতের রচ্যিতা।
রবীন্দ্রনাথ অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন। কিন্তু নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়া হয়নি তার। ১৭ বছর বয়সে লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসেছেন পড়া শেষ না করেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্য প্রকাশিত হয়েছিল যখন তার বয়স মাত্র পনেরো বছর। কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান- সাহিত্যের সব শাখাতেই বিচরণ করেছেন তিনি। শুধু বড়দের জন্যই লেখেননি, লিখেছেন ছোটদের জন্যও। তিনি ছিলেন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, নাট্যপ্রযোজক এবং অভিনেতা।
১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা। বলা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা।
সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার মনে হয়েছিল, প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা থাকা উচিত। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বিশ্বভারতী।’
রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাব্য সাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন সেই পরমার্থের সাথে তিনি আজও অমর। মৃত্যুর প্রায় আট দশক পরেও তিনি বাঙালির জীবনে প্রবাদের মত আছেন। মৃত্যুহীন অনন্ত জীবনের স্বাক্ষর বয়ে চলেছেন যেন আজও।
বাংলাভাষা এবং বাঙালী জাতিসত্তার সঙ্গে যে ব্যক্তিটির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, তিনি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যার ছোঁয়ায় বাঙালী সংস্কৃতির আধুনিক রূপায়ণ ঘটেছে। পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর সব্যসাচী হাতের স্পর্শে প্রাণ পেয়েছে বাংলা ছোট গল্পের সীমাবদ্ধ অধ্যায়। উপন্যাস, কবিতা ও নাটকে এসেছে বৈচিত্র আর সঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তো এখনও তাঁকে বলা হয় অতুলনীয় স্রষ্টা। এছাড়া তিনি ছিলেন একাধারে সমাজ ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ এবং ভাষাবিজ্ঞানী। তবে তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি। শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় সামান তালে বিচরণ করা লেখকের সংখ্যা এখন পর্যন্ত কম, যে কারণে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই উচ্চারিত হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। যিনি বাংলা শিল্প সংস্কৃতিকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
আজ ২২ শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণদিবস, বাঙালী জাতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন। যে দিনটি কখনই ভোলার নয়। নানা ধরনের আয়োজনে পালন করা হয় বিশ্বকবির মৃত্যুবার্ষিকি। প্রতিবারের ন্যায় এবারও এর ব্যক্তিক্রম হবে না। তবে প্রতিবছরই একটু একটু করে বৃদ্ধি পায় আয়োজনের পরিধি। বাঙালীর প্রাণের মানুষের এই জন্মদিন কিংবা মৃত্যুদিন পালনে থাকে না কোন কার্পণ্য। রীতিমতো উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়ে থাকে তাঁর । এসব পালনে থাকে না জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ। শুধুুমাত্র তার অতুলীয় সৃষ্টিকে উপজীব্য করে সবাই মিলিত হয় প্রাণের মেলায়। একেকজন একেক আঙ্গিকে পালন করে থাকে দিবসটিকে।
রবীন্দ্র কাব্যে মৃত্যু এসেছে বিভিন্নভাবে। জীবদ্দশায় মৃত্যুকে তিনি জয় করেছেন বার বার। মৃত্যু বন্দনা করেছেন তিনি এভাবে-‘মরণ রে, /তুঁহু মম শ্যাম-সমান। /মেঘবরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট!/ রক্ত কমলকর, রক্ত-অধরপুট, /তাপ বিমোচন করুণ কোর তব /মৃত্যু-অমৃত করে দান। /তুঁহু মম শ্যাম সমান।’
রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিজীবনে মৃত্যুকে বড় গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন মাত্র একচল্লিশ বছর বয়সে স্ত্রী বিয়োগের মধ্যদিয়ে। কবি যখন দূরে থাকতেন স্ত্রী মৃণালিণী দেবীকে ‘ভাই ছুটি’ সম্বোধন করে চিঠি লিখতেন। কবির সেই ‘ছুটি’ যখন সংসার জীবন থেকে সত্যিই একদিন ছুটি নিয়ে চলে গেলেন তাঁর বয়স তখন মাত্র ঊনত্রিশ।
কিশোর বয়সে বন্ধুপ্রতিম বৌদি কাদম্বরী দেবীর অকালমৃত্যু ও আরও পরে স্ত্রীর মৃত্যু। একমাত্র রথীন্দ্র ছাড়া তিন কন্যা ও এক পুত্রের অকাল মৃত্যু হয়। পুত্র-কন্যাদের অকাল মৃত্যুর নিদারুণ যন্ত্রণা তাকে সহ্য করতে হয়েছে। একে একে প্রিয়জনদের মৃত্যুর নীরব সাক্ষী ও মৃত্যুশোক রবীন্দ্রনাথের এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভে সহায়ক হয়েছিল। কবি জীবনস্মৃতিতে ‘মৃত্যুশোক’ পর্যায়ে অকপটে লেখেন, ‘জগৎকে সম্পূর্ণ করিয়া এবং সুন্দর করিয়া দেখিবার জন্য যে দূরত্ব প্রয়োজন, মৃত্যু দূরত্ব ঘটাইয়া দিয়াছিল। আমি নির্লিপ্ত হইয়া দাঁড়াইয়া মরণের বৃহৎ পটভূমিকার উপর সংসারের ছবিটি দেখিলাম এবং জানিলাম, তাহা বডডো মনোহর।’
মৃত্যুকালীন সময় পূর্বে অর্থাৎ অসুস্থ অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের বেশকিছু কবিতা ছিল মৃত্যু চেতনাকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে ‘মরণের মুখে রেখে দূরে যাও দূরে যাও চলে, মরণ বলে, আমি তোমায় জীবনতরী বাই, আবার যদি ইচ্ছা করে আবার আসি ফিরে, পেয়েছি ছুটি বিদায় দেহো ভাই সবারে আমি প্রণাম করে যাই, আবার যাবার বেলাতে সবাই জয়ধ্বনি কর’ উল্লেখযোগ্য ।
জীবনের শেষ নববর্ষের সময় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁর সাধের শান্তি নিকেতনে। সেদিন তাঁর কলমে রচিত হয়েছিল ‘সভ্যতার সংকট’ নামের অমূল্য লেখাটি। তারও ক’দিন পর ১৯৪১ সালেরই ১৩ মে লিখে রাখলেন, রোগশয্যায় শুয়েই ‘আমারই জন্মদিন মাঝে আমি হারা’।
নিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষ দিনগুলোতে কখনও তিনি শয্যাশায়ী, কখনও মন্দের ভাল। শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, শান্তিনিকেতনের আশ্রম বালক-বালিকাদের ভোরের সঙ্গীত অর্ঘ্য তিনি গ্রহণ করেন তাঁর উদয়ন গৃহের পূবের জানলার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে উঠেন কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল কার’।
রবীন্দ্র জীবনী থেকে জানা গেছে, মৃত্যুর মাত্র সাত দিন আগে পর্যন্তও কবি সৃষ্টিশীল ছিলেন। জোড়াসাঁকোতে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে তিনি বলতেন রানী চন্দ লিখে নিতেন। কবি বলে গেছেন, ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কবিতাটি বলতে বলতে। দিনটা ছিল কবির শেষ বিদায়ের দিন কয়েক দিন আগে চৌদ্দই শ্রাবণ। রানী চন্দ সে দিন সূত্রধরের মতো লিখেও নেন রবীন্দ্রনাথ উবাচ কবিতাটি ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’।
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর বর্ণনা পাওয়া গেছে এভাবে-আগস্টের প্রথম দিন দুপুরবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথের হিক্কা শুরু হয়। কবি কাতর স্বরে তখন উপস্থিত সবাইকে বলেছিলেন, ‘একটা কিছু করো, দেখতে পাচ্ছো না কী রকম কষ্ট পাচ্ছি।’ পরের দিন হিক্কা থামানোর জন্য ময়ূরের পালক পুড়িয়ে খাওয়ানো হলেও তাতে কিছুমাত্র কষ্ট লাঘব হল না। আগস্টের ৩ তারিখ থেকে কিডনিও নিঃসাড় হয়ে পড়ে। ৬ আগস্ট রাখি পূর্ণিমার দিন কবিকে পূবদিকে মাথা করে শোয়ানো হল। পরদিন ২২শে শ্রাবণ, ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথের কানের কাছে মন্ত্র জপ করা হচ্ছে ব্রাহ্ম মন্ত্র ‘শান্তম, শিবম, অদ্বৈতমৃ.’ ‘তমসো মা জ্যোতির্গময়ৃ..’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন মৃত্যু পথযাত্রী। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন ২২শে শ্রাবণের বেলা ১২টা বেজে ১০ মিনিট। কবি চলে গেলেন অমৃত আলোকের নতুন দেশে।
বাংলা সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অসামান্য। তাই তো তিনি আজও বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে, থাকবেন সবসময়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠকুরের ৭৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমী আজ বিকেল ৪টায় একাডেমীর শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘যুদ্ধ এবং বিশ্ব শান্তি’ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক ড. বেগম আখতার জামান।
শিল্পের নানা মাধ্যমে পরিভ্রমণ করে হয়েছিলেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। বয়স যখন ৬৩-এর কোঠায় তখন নতুন করে বাঁধা পড়লেন রং ও রেখায়। সৃষ্টি করলেন চার হাজারেরও বেশি চিত্রকর্ম। চিরন্তন অবয়বকে বদলে দিয়ে রেখায় ও রঙে তিনি নিয়ে এলেন বৈচিত্র ও আধুনিকতা।শিশুরা যেমন মনের আনন্দে, যখন যা মনে আসে তাই ড্রইং খাতায় আঁকে। রবির চিত্র শিল্পের শুরুটা তেমনি ভাবে। শিশুদের মত, তবে শিশু সুলভ নয়।
তখন উনিশ বিশের দশকের শেষ ভাগ। বিশ্বসাহিত্য ও চিত্র কলার জগতে চলছিল ভাঙ্গা গড়ার খেলা। আর তাতেই নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ হল। রবিও অস্বীকার করে বসলেন, শিল্প ও সুন্দরের কবিগুরুকে। চিত্রকর্মে আমরা যে রবীন্দ্রনাথকে পাই তা আমাদের চেনা শুদ্ধ ও সুন্দরের সাধক রবি নয় বরং একান্তই বিপরীত।
রেখার আবেশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন বহু অবয়ব। এছাড়াও রবির, চিত্রের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই চেনা মুখ ছায়ার আড়ালে কেমন যেন আড়ষ্ট, যেন অনেক কিছু বলার আছে। ভীষণ রকম বাঙ্গময় তবে বিষন্ন। ক্রমাগত বিষন্ন মুখগুলো তিনি এঁকেছেন বারেবারে। এসব ছবি নিয়ত ভাঙ্গাগড়ার এক আশ্চর্য উপলব্ধির মাঝে আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয়।
তবে, লাল রঙ্গের পাশে সরকারি কালো বা কোন গাড় অন্ধকার রঙ ব্যবহার করতে রবি মানসিক দোলাচলের মধ্যে পড়েছেন। কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার বর্ণান্ধতার কথা। এই সীমাবদ্ধতাও রবির চিত্রকে নি:সন্দেহে দিয়েছে ভিন্নতা।
জীবনকে নানাভাবে রেখা ও রং ফুটিয়ে তুলেছেন রবি। তিনি অসুন্দর আর দু: স্বপ্নকে চিত্রিত করেছেন জীবনকে ভালবাসেন বলেই। জীবনের সংকটে, সংশয়ে কবির চেতনাই আমাদের আশ্রয়। তাইতো প্রতিদিনই তার জন্ম। প্রতিটি ২২শে শ্রাবণই যেন আমাদের ২৫শে বৈশাখ।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে। এছাড়াও বিশ্ব কবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন আজ শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

এ জাতীয় আরও খবর

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সময়সূচি কমছে

আর বই বিলি করবেন না পলান সরকার

রাষ্ট্রপতি বললেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন

শাহজালালে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানের জরুরি অবতরণ

শনিবার প্রথম সংবাদ সম্মেলন মেয়র আতিকুলের

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার সহযাত্রী হবে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিরাপত্তা পরিষদে জানাল বাংলাদেশ, আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় নয়

মুরগিতে ৩০ ও ডিমে ২০ টাকা বেড়েছে

ভোটারদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে : সিইসি

কাদের বললেন, ভোটার কম হওয়ার পেছনে ৫ কারণ

ডিএনসিসি নির্বাচন: জামানত বাতিল শাফিনসহ চার জনেরই

উত্তরের মেয়র পদে আতিকুল ইসলাম জয়ী