ঈশানার জামিননামা দাখিলে জটিলতা
---
বিনোদন প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ মঙ্গলবার আত্মসমর্পন করেন মডেল অভিনেত্রী ঈশানা। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের আদেশের কপিতে তারিখের ভুলজনিত জটিলতার কারণে ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক মো. মারুফ হোসেন ইশানার জামিননামা দাখিলের অনুমতি দেননি।
আদালত আদেশে বলেন, বিজ্ঞ আইনজীবীর বক্তব্যে মোতাবেক এটি ভুলক্রমে হয়েছে বলে দাবি করেন, আদালতে প্রাপ্ত আদেশ কপি মতে আদেশের আলোকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং এ আদালতের সংশোধন করার সুযোগ না থাকায় জামিননামা দাখিল ও গ্রহণের আবেদনটি গ্রহণ করার সুয়োগ নাই। পরবর্তী যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনজীবী এমদাদুল হক লালকে বলা হলো।
এই মামলায় গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ফৌজদারি বিবিধ মামলা নং ১২৬৭৭/১৬ মোতাবেক চার সপ্তাহের জামিন পান এই অভিনেত্রী। হাইকোর্ট থেকে যথানিয়মে আদেশের কপি সিএমএম আদালতে আসলেও আদেশের কপিতে আদেশের তারিখ ৩/০৪/২০১৬ ইং তারিখের ¯হলে ভুলক্রমে ১৯/০১/২০১৬ লিখা আছে আইনজীবী এমদাদুল হক শুনানিতে বলেন। মডেল অভিনেত্রী ঈশানা তার আইনজীবী এমদাদুল হক লালের ম্যাধমে ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করলে এ ভুলটি ধরা পড়ে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদি প্রযোজক অভিনেতা প্রেম মৌনিতা খান ঈশানার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মানহানি মামলা ও গত ১ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জিতে বাদি উল্লেখ করেন, শুটিং সেটে তার অনুপস্থিতে ঈশানা তাকে গালাগালি করেছে, সাথে তার নিজস্ব ফেসবুকে একটি মানহানিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করে, যাতে বাদির সুনামহানি সামাজিক ও আর্থিকভাবে এক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঈশানার আইনজীবী এমদাদুল হক লাল জানান, গত ৫ এপ্রিল প্রযোজক মারুফ খান প্রেমের দায়ের করা মানহানি মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন ঈশানা। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে তাকে পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রযোজক অভিনেতা প্রেমের দায়ের করা মানহানির মামলায় গত ২২ মার্চ ঢাকার মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনা এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
গত ১ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গত ৩/০৪/২০১৬ইং মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ফৌজদারি বিবিধ মামলা নং ১২৬৭৭/১৬ মোতাবেক চার সপ্তাহের জামিন পান ঈশানা। কিন্তু আদেশের তারিখের ভুলজনিত জটিলতার কারণে আদালতে এসেও জামিননামা দিতে না পারার ফলে ঈশানা খুবই মর্মাহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন মৌনিতা খান ঈশানা।