g জেলা প্রশাসনের বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়াজ মাহফিল বন্ধ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১৩ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জেলা প্রশাসনের বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়াজ মাহফিল বন্ধ

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১০, ২০১৬

---

download (39)নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই মাহফিলে কোরআনে হাফেজদের পাগড়িও প্রদান করা হতো। গতকাল বুধবার সকালে আয়োজকদের ডেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিল করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন জেলা প্রশাসক। আয়োজকরা জানিয়েছেন তারা দু-সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু গতকাল ওয়াজ মাহফিলের  দিন সকালে ডেকে নিয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয় তাদের। জেলা প্রশাসক ওয়াজ মাহফিলে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কথা বললেও নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে আচরণ বিধিতে সভা-সমাবেশ নিষেধের কথাই বলা আছে শুধু। শহরের কাজীপাড়ার জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়ের ১১তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল গতকাল বিকাল ৩টা থেকে। মহাসম্মেলন সফলে প্রচার-প্রচারণা চলছে গত ১০/১২ দিন ধরে। মাদরাসা প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয় প্যান্ডেল। সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান জেলা প্রশাসক। এরপরই মাদরাসাটির পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস ও একজন শিক্ষক মুফতি এনামুল হাসান জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। জেলা প্রশাসক ড. মুহম্মদ মোশাররফ হোসেন তাদেরকে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কথা জানিয়ে ওয়াজ মাহফিল করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন- আমরা তখন জেলা প্রশাসককে তার বরাবর গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি করা আবেদনের কপি দেখাই। এটি দেখে তিনি বলেন আমার কাছে এই আবেদন পৌঁছায়নি। তা ছাড়া এতে কাজ হবে না। এটি পুরনো। আমরা এই মহাসম্মেলনে কোরআন হাফেজদের পাগড়ি দেব বলেও জেলা প্রশাসককে জানাই। তাতেও তিনি রাজি হননি। অনুমতি পেতে অনেক চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে আমরা ফিরে আসি। একই সময়ে থানা থেকেও পুলিশ যায় ঐ মাদরাসায়। পুলিশও ওয়াজ মাহফিল না করতে নিষেধ করে। ইদ্রিস বলেন- ডিসির (জেলা প্রশাসক) ওখান থেকে এসে আমরা আবার থানায় ওসির কাছে যাই। ওসিও একই কথা বলেন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে ওয়াজ মাহফিলের স্থানে গিয়ে দেখা গেছে মঞ্চটি খুলে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন- নির্বাচন চলাকালীন এতে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের একটা ব্যাপার আছে। তা ছাড়া তারা আমাদের পারমিশান নেননি। ওদিকে জেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে আচরণ বিধিতে ওয়াজ মাহফিল করা যাবে না এমন কোনো কিছু বলা নেই। সভা-সমাবেশ নিষেধ করা আছে। এই ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের উমেদনগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ তাফাজ্জুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি একেএম সাদেকসহ দেশের বিভিন্নস্থানের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ। সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে হাফেজ আবুল হাসনাত আমিনীর। এই সম্মেলনে ১৮ জন কোরানে হাফেজকে পাগড়ি প্রদান করা হতো বলে জানান মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মাহফিল সফলে গত ক’দিন ধরে পোস্টার-লিফলেট ও মাইকে প্রচারণা চালানো হয়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানান- গত ১১ বছর ধরে নিয়মিত মাদরাসাটির উদ্যোগে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে। কিন্তু এর আগে কখনো এমন বাধা আসেনি। উল্লেখ্য, আগামী ২০শে মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচন।

এ জাতীয় আরও খবর