পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা সন্তানের কর্তব্য

aadmin

ইসলাম ধর্ম

সন্তানের প্রতি মা-বাবার ভালবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত। তাই মা-বাবার ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ থাকে না। শিশু-সন্তানের প্রতিপালনের জন্য আল্লাহ মা-বাবার মনে এ ভালবাসা ঢেলে দেন। এর ফলেই তাঁরা সন্তানের জন্য তারা অকাতরে কষ্ট করেন। বিরক্ত হন না। সন্তানের প্রতি স্নেহ-মমতার কারণে কত রাত জেগে কাটিয়ে দেন। সন্তান কাঁদে, দুধ পান করে, মা জেগে থাকেন। সন্তানের অসুখ হয়, বাবা-মা রাত জেগে তার সেবা করেন। আবার দিনে মা ঘরের কাজ করেন, বাবা বাইরের কাজে যান।
এজন্য আল্লাহ তা’আলা সন্তানকে আদেশ করেছেন সে যেন পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার করে। কোরআনে এসেছে,‘আমি মানুষকে নিজের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু যদি তারা তোমার উপর চাপ দেয় যে, তুমি এমন কোন (মা’বুদকে) আমার সাথে শরিক করো যাকে তুমি (আমার শরিক হিসেবে) জানো না, তাহলে তাদের আনুগত্য করো না। আমার দিকেই তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে, তখন আমি তোমাদের জানাবো তোমরা কি করছিলে’(সূরা আনকাবুত, আয়াত ২৯)
অন্য এক আয়াতে এসেছে,‘ তোমার রব ফয়সালা করে দিয়েছেন, তোমরা কারোর ইবাদত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদত করো। পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো। যদি তোমাদের কাছে তাদের কোন একজন বা উভয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো।’ (সূরা ইসরাঈল, আয়াত ২৩) এ আয়াতে এক আল্লাহর ইবাদত তথা তাওহীদের পরই বাবা-মা’র সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ পাকের কাছে বাবা-মা’র সাথে সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব কত বেশি।
মা-বাবার সাথে সব সময় নম্র ব্যবহার করতে হবে। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ৃএবং তাদের সাথে নম্রভাবে কথা বল, ৃআর দোয়া কর, হে আমার রব! তারা যেভাবে আমার শৈশবে আমাকে লালন-পালন করেছেন তেমনি আপনিও তাদের প্রতি রহমতের আচরণ করুন। (সূরা ইসরা, আয়াত ২৩-২৪)
আমাদের সবার কর্তব্য পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং তাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সে তৌফিদ দান করুন। আমিন।