বুধবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১২ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তি আর প্রতারণা পিছু ছাড়ছে না

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক অনলাইন স্মার্ট ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না। যতই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, ভর্তিইচ্ছুরা ততই বিপদে পড়ছে। ভালো কলেজে সুযোগ পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার।
জানা গেছে, নানা ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা গত শনিবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেদিন সকাল থেকে ভর্তি শুরুর কথা থাকলেও হাজারো শিক্ষার্থী অভিযোগ নিয়ে ভিড় জমায় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে। নামিদামি অনেক কলেজেরই ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে এখনও আসন খালি অথচ ভর্তি নিচ্ছে না। ঢাকা বোর্ডে ধরনা দিচ্ছেন। আবার কিছু কলেজে তৃতীয় মেধা তালিকায় নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পাঠানো হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করেই ফেরত পাঠাচ্ছেন। এসব শিক্ষার্থীও ধরনা দিচ্ছেন ঢাকা বোর্ডে। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, জটিলতা কাটাতে আজ সোমবার থেকেই বাদপড়া সকলেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তবে সকল শিক্ষার্থী যেন ১০টি কলেজ পছন্দ করে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, তৃতীয় মেধা তালিকার জন্য আবেদন করার কথাছিল প্রায় দুই লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর। কিন্তু আবেদন করেছে এক লাখ নয় হাজার ১৪৬ জন। অর্ধেক শিক্ষার্থীই আবেদন করেনি। এজন্য অনেক কলেজকে শিক্ষার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার অন্যান্য বছর বিজ্ঞান থেকে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় বিভাগ পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা থাকে বেশি। কিন্তু এবার সে সংখ্যাও কম। আর তৃতীয় মেধা তালিকায় আবেদন করেও ৫০৭ জন শিক্ষার্থী মনোনয়ন পায়নি। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পাওয়া। শুধু ঢাকা বোর্ডেরই ১৪১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়া সত্ত্বেও তাদের কলেজ খুঁজে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ভর্তি জটিলতা কাটাতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে চতুর্থ মেধা তালিকার জন্য সকলেই আবেদন করতে পারবে। তবে যারা আগে আবেদন করেনি তারা ফির বিনিময়ে আবেদন করতে পারবে। আর যারা আগে আবেদন করেছে তারা পুরনো পাসওয়ার্ড দিয়েই ফি ছাড়া আবেদন করতে পারবে। তাদের ফল আগামী ২৩ জুলাই প্রকাশ করা হবে। তারা বিলম্ব ফি ছাড়াই ২৫ ও ২৬ জুলাই ভর্তি হতে পারবে। ২০ আগস্ট থেকেই টিসি দেওয়া হবে। যারা কলেজ পরিবর্তন করতে চায় তারা টিসি নিয়ে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে পরিবর্তন করতে পারবেন।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি মানবিক বা ব্যবসায় আবেদন না করে তাহলে আমরা তাদের মনোনীত করবো কিভাবে? যেহেতু নামিদামি কলেজে আসন খালি রয়েছে তাই যদি কেউ বিভাগ পরিবর্তন করে ওইসব কলেজে ভর্তি হতে চায় তাহলেও আমরা সুযোগ দেব। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত যেসব শিক্ষার্থী এখনও কলেজ খুঁজে পায়নি তারা আবার কয়েকটি কলেজের মধ্যে তাদের পছন্দ সীমাবদ্ধ রেখেছে।’

Print Friendly, PDF & Email