বুধবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১২ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘ভারতকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে না’

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশের কতটা লাভ হবে সে প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন।

ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি বাড়ানো এবং ভারতীয় কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।
শনিবার ঢাকায় বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন এক্ষেত্রে ভারতকে কোন বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছেনা।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন কানেক্টিভিটিতে আমরা ভয়ঙ্কর লাভবান হব।

মিঃ মান্নান বলেন ভারতীয় ভূখ- ব্যবহার করে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা করার চেষ্টা বাংলাদেশ অনেকদিন ধরেই করছে।
মিঃ মোদীর সফরে বাংলাদেশের সেই চাহিদা পূরণ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ভারতের রিলায়েন্স ও আদানি গ্র“পকে বাংলাদেশে সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে। এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের কোম্পানিগুলোকে মহেশখালীতে জমি দেবে বাংলাদেশ। অর্থ প্রতিমন্ত্রী মিঃ মান্নান বলছেন এতে বাংলাদেশই লাভবান হবে।

তিনি বলেন আমরা যদি ভারত থেকে গরু আমদানি করতে পারি, শাড়ি আমদানি করতে পারি, পেঁয়াজ আমদানি করতে পারি, তাহলে বিদ্যুৎ আমদানি করতে সমস্যা কোথায়।”
কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ ধরণের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে কোন বিদেশী বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাঁদেরকে জমি দেয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন কোন ঘটনা না।

মিঃ মান্নান বলেন “যেকোনো ইনভেস্টার (বিনিয়োগকারী) আসলে আমাদের কাছে জমি চাইবে, গ্যাস চাইবে, নিরাপত্তা চাইবে – এগুলো তো আমরা দিতে বাধ্য।”
ব্যবসা করতে গেলে সেটা ‘খোলা মনে’ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ সংলাপের আরেকজন প্যানেলিস্ট বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন ভারতের সাথে যে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

মিঃ রিপন বলেন এই চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলো সরকার যদি জনসমক্ষে প্রকাশ করত তাহলে বোঝা যেত বাংলাদেশের কতটা লাভ হবে।

অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিস্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস মনে করেন যে ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি বাড়লে ভারতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে।

তিনি মনে করেন বাংলাদেশীদের ভারতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি যদি সহজ করা হত তাহলে বাংলাদেশ কানেক্টিভিটির দিক থেকে আরও উপকৃত হত।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সেদেশের যানবাহন চলাচলের সুযোগ দিলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
সংলাপে আরেক প্যানেলিস্ট ব্যাংকার জিয়াউল হাসান মনে করেন ভারতের সাথে যতটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যায় বাংলাদেশের জন্য ততই ভালো।
তবে, নরেন্দ্র মোদীর সফরে বাংলাদেশের কতটা লাভ হয়েছে সে বিষয়ে তিনি সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বাংলাদেশিদের ‘রোহিঙ্গা’ সাজিয়ে পাচার

সাবেক মিস আমেরিকা বিয়ে করলেন সমকামী তরুণীকে (ছবিসহ)

আজও আঁতকে ওঠেন রানা প্লাজার সেই রেশমা

ডলার-পাউন্ডের দাম বৃদ্ধির রেকর্ড

গিবতকারী জানে না তার পরিণতি কতো ভয়াবহ

সাকিবের ঝুলিতে ৩০০ উইকেট