g নিউইয়র্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী যা বললেন | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ১৩ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী যা বললেন

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩, ২০১৫

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবীন রাজনীতিক আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'দীর্ঘ ৪৪ বছর পরে একাত্তরের ঘাতকদের শাস্তি হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত অর্থেই সরকার ওইসব অপরাধীদের শাস্তি প্রদানে বদ্ধপরিকর। সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে শাস্তি কার্যকর করতে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠার অবকাশ থাকতে পারে না। এতদসত্বেও, এ নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন ওঠে তবে আমি খুবই বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ হই।'


ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ’র বসন্তকালীন সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের প্রাক্কালে উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষায় সর্বাধিক প্রচারিত 'সাপ্তাহিক ঠিকানা' কে প্রদত্ত একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।

সাক্ষাৎকারটি প্রশ্নোত্তর আকারে এখানে উপস্থাপন করা হলো:

প্রশ্ন : হরতাল-অবরোধের টানা ৯২ দিনে পেট্রল বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে ১৬০ জনের প্রাণহানী ও অনেকের আহত হবার পাশাপাশি বিপুল অর্থ-সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে আপনি নিজেও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়াকে ‘সন্ত্রাসের রাণী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আপনি তাকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। এসব কারণে বিভিন্ন স্থানে বেগম জিয়াকে হুকমের আসামী করে মামলাও হয়েছে। তারপরও বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে না কেন? অথবা আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের আছে কি?

উত্তর : আমার মনে হয় না এই সন্ত্রাসের রানীকে প্রসিকিউট করার কোন পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মনে রাখতে হবে যে, তিনি সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেত্রী। এছাড়াও দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ অবস্থায় তাকে বিচারে সোপর্দ করলে সকলে যে ব্যাপারটিকে সদয়ের চোখে দেখবেন তা মনে হয় না।

প্রশ্ন : তাহলে আপনাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার সেটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে?

উত্তর : বলতে দ্বিধা নেই যে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি ব্যতয়। তবে, সরকারকে একটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হয় যে, জনজীবনে আবার নৈরাজ্য নেমে আসবে, অথবা আবার সাধারণ মানুষকে সন্ত্রস্ত করা হবে-এমন আশংকা যতটা এড়িয়ে চলা যায় ততই সরকারের জন্যে মঙ্গল। এক্ষেত্রে একটি ব্যতয় ঘটলেও জনজীবনের স্বার্থে, সামগ্রিক জাতীয় অগ্রগতির স্বার্থে কিছুটা ছাড় দিলে সেটি আইনের শাসনের ক্ষেত্রে প্রকারান্তরে সুফলই বইয়ে আনবে।

প্রশ্ন : তাহলে কী বলতে হবে সরকার সমঝোতা করেছে?

উত্তর : এক ধরনের সমঝোতা বলা যেতে পারে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জাতীয় স্বার্থে সমঝোতা হতেই পারে। শেখ হাসিনা এবং তার সরকার সর্বদাই জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

প্রশ্ন : একই ধরনের সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতেই কী তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে নিতে সরকার সময়ক্ষেপন করছে?

উত্তর : নো, এ ধারণা ঠিক নয়। তারেক রহমানের ক্ষেত্রে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। খালেদা জিয়ার সাথে তারেক রহমানের কোন তুলনাই হতে পারে না। তারেক রহমান একটি অপদার্থ। তার মত একটি মানুষের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণে কোন সমস্যা থাকার প্রশ্নই উঠে না।  আমি জানিনা, তারেক রহমানকে কেন দেশে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে না।

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, জেলহত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনী এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে নিতে নিউইয়র্কের একটি ল’ ফার্ম ভাড়া করা হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশের পর নিউইয়র্কের আইনজীবী থেকে সুধীজনে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে যে, সরকার যে ফার্ম ভাড়া করেছে তাদের তেমন ক্রিডেনশিয়াল নেই।

উত্তর : বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তবে নিয়োগের আগে নিশ্চয়ই ঐ ফার্মের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। সেটিই নিয়ম। তবে আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। কিংবা ঐ ল’ ফার্ম সম্পর্কেও ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন ধারণা নেই। একটি বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে, ভাড়া করার আগে অবশ্যই ঐ ফার্মের ক্রিডেনশিয়াল সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এসব কাজ করে থাকেন।

প্রশ্ন : আসলে কি সরকারের আন্তরিক কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ রয়েছে-ঐসব দন্ডপ্রাপ্ত ঘাতকদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে?

উত্তর : দেখুন, বাংলাদেশ আবির্ভাবের ৪৪ বছর কেটে গেছে। ৪৫ বছরে রয়েছি আমরা। দীর্ঘ ৪৪ বছর পরে একাত্তরের ঘাতকদের শাস্তি হচ্ছে। এথেকেই প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত অর্থেই সরকার ঐসব অপরাধীদের শাস্তি প্রদানে বদ্ধপরিকর। সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে শাস্তি কার্যকর করতে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠার অবকাশ থাকতে পারে না। এতদসত্বেও, এ নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন উঠে তবে আমি খুবই বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ হই।

প্রশ্ন : ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩দিনব্যাপী বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বসন্তকালিন বৈঠকে অংশগ্রহণের সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বহুজনের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়েছে। সে সময় বাংলাদেশে গত ৯২ দিনের হরতাল-অবরোধ নিয়ে কারো মধ্যে কোন আগ্রহ বা কৌতুহলের প্রকাশ ঘটতে দেখেছেন কি?

উত্তর : নাথিং। দিস ইজ এ ভোগাস হরতাল। যারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানেন বা খোঁজ-খবর নেন, তারা জেনে গেছেন যে, ঐ হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি ছিল একটি ভাওতাবাজি। সম্পর্ণরূপে ফার্স। কিছুদিন আগে ওয়ার্ল্ডব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনেট ডিক্সন (যিনি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কাজকর্ম দেখেন) বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি ঢাকায় আমার অফিসেও গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি আমাকে বলেছেন যে, ‘বাংলাদেশে নাকি হরতাল-অবরোধে সবকিছু অচল। আমি যেন বাংলাদেশে না আসি। কিন্তু এসে দেখছি হরতাল বলতে কিছু নেই।’ খালেদা জিয়া শুধু বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই অবরোধ-হরতালের আঁচ ছিল, বাস্তবে কিছুই ছিল না। তবে শুরুতে, অর্থাৎ জানুয়ারিতে কিছুটা খারাপ পরিস্থিতি ছিল।

প্রশ্ন : হরতাল-অবরোধে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কোন ধারণা আছে কি?

উত্তর : অর্থনীতির ওপর প্রভাব একেবারেই জিরো। প্রথমদিকে আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম যে, অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। সে আংশকায় আমি সে সময় এ ধরনের কর্মসূচিকে ‘দেশদ্রোহি’ হিসেবে অভিহিতও করেছিলাম। পরবর্তীতে দেখলাম যে, কেবলমাত্র জানুয়ারিতেই অর্থনীতির ওপর কিছুটা চাপ তৈরী হয়েছিল।

প্রশ্ন : ৯২ দিনের কর্মসূচিতে এতগুলো মানুষ মরলো, আহত হয়ে অনেকে হাসপাতালে, সর্বসাধারণের বিপুল ক্ষতি হয়েছে, এসবের দায়িত্ব নেবে কে?

উত্তর : পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মানুষ মারার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সফল হয়েছেন, এটি অস্বীকারের উপায় নেই। আরেকটি বিষয় ঘটেছে ঐ কর্মসূচিতে। সেটি হচ্ছে পেট্রোল বোমার আমদানী। অসহায় শিশু-নারী-পুরুষের ওপর ঐ বোমা ছুঁড়ে মানুষ মারার জঘন্য এবং হিংসাত্মক একটি প্রক্রিয়া তিনি চালু করেছেন। এথেকেই দেশবাসীর অনুধাবন করা উচিত যে, তিনি কী রকমের মানববিরোধী মহিলা। তিনি একজন অসুস্থ মানুষ। সুস্থ এবং বিবেকসম্পন্ন কারো পক্ষে এভাবে মানুষ হত্যার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে না। এহেন আচরণের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়া নিজেকে জাতীয় নেত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই ‘আনফিট’ করেছেন।

প্রশ্ন : এসব আচরণের কারণেই তো তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা হওয়া দরকার।

উত্তর : হয়তো, কোন সময় মামলার উদ্ভব হবে। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে এমন বর্বর আচরণে প্রবৃত্ত না হয়, তা বন্ধের জন্যেই মামলার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তার বয়সের দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ীই এখন তার বয়স ৭০ বছর। যদিও তিনি একেক সময় একেক জন্মতারিখ ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন : বয়সের কারণে কি অপরাধীরা পাড় পেয়ে যাবে?

উত্তর : সেটি একেবারেই সত্য নয়। তবে একটি সময় এসেছিল তাকে গ্রেফতারের। আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানাকে যখন তিনি শ্রদ্ধা দেখাননি। এখনতো আর সে সুযোগও নেই। সবকিছু আইন অনুযায়ী চলছে।

প্রশ্ন : আপনার কি মনে হয়, এখনও জামায়াতে ইসলামের সাথে বেগম জিয়ার সম্পর্ক আগের মতই রয়েছে?

উত্তর : তিনি তো জামায়াতের আমীর। এখনও সে দায়িত্বই পালন করছেন। জামায়াতের এখন আর কোন অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র আমীর হিসেবে খালেদা জিয়া রয়েছেন।

প্রশ্ন : ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে বিভিন্ন ভাবে বলা হচ্ছে।

উত্তর : আমি জানি সবকিছু। আসলে এ তথ্য ঠিক নয়। তিনি বেশী বয়েসী হয়ে পড়েছেন। যদিও আমার চেয়ে প্রায় ১২ বছরের ছোট। কিন্তু দেখলে মনে হবে আমার চেয়ে তিনি ১০ বছরের বড়। এটি মূল সমস্যা বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। তবে, আমরা জেনেশুনেই তাকে নিয়োগ করেছিলাম।

প্রশ্ন : আপনারা ৩টি এনআরবি ব্যাংক দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রবাসীরা বেশ উৎফুল্ল। কিন্তু বিগত ৩ বছরে সাধারণ প্রবাসীরা এসব ব্যাংকের সেবা পাবার মত কিছু দেখেননি। এ নিয়ে কোন ভাবনা আছে কি?

উত্তর : সেগুলোতে সাধারণ প্রবাসীরা কীভাবে উপকৃত হবেন? কেবলমাত্র যারা বিনিয়োগ করবেন বা করেছেন, তারাই উপকৃত হচ্ছেন। তবে, প্রবাসীরা সরাসরি উপকৃত হতে পারবেন, যদি রেমিট্যান্সের প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে। সেটি করেছে কিনা আমি জানি না। আমরা এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। অনেকে সম্পৃক্ত হয়েছেন ইতিমধ্যেই।

প্রশ্ন : সামনে আরেকটি বাজেট আপনার মাধ্যমে ঘোষিত হতে যাচ্ছে। এবারের বাজেটের পরিমাণ কত হতে পারে?

উত্তর : ৩ লাখ কোটির বেশী। সর্বকালের সবচেয়ে বড় বাজেট হবে এবার।

প্রশ্ন : সর্বসাধারণের জন্যে বিশেষ কোন সুযোগ-সুবিধা থাকবে কি?

উত্তর :  আওয়ামী লীগের বাজেট সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণেই হয়েছে। এবারও অবশ্যই তেমন প্রতিফলনই থাকবে। প্রতিবারই নতুন নতুন উদ্যোগ থাকে। এবারই তার ব্যতয় ঘটবে না।

প্রশ্ন : কৃষকের স্বার্থে বিশেষ কিছু থাকবে কি?

উত্তর : কৃষকের জন্যে ভর্তুকির ব্যবস্থা সবসময়ই আমাদের আমলে ঘটেছে। এবারও ঘটবে। আমরা তো কৃষকসহ খেঁটে খাওয়া মানুষের ব্যাপারে সবসময় অধিক মনোযোগ দেই। তবে আশার কথা হচ্ছে, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মত আমাদের কৃষক সমাজও এখন অনেক ভালো জীবন-যাপন করছেন।

প্রশ্ন : শতশত কোটি টাকার ঋণ নিয়ে যারা পরবর্তীতে পরিশোধ করেননি, এমন দায়গ্রস্তদের ব্যাপারে বিশেষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব বাজেটে থাকবে কি?

উত্তর : বানিজ্যিক কারণে ঋণ নিয়ে অনেক মানুষ তা শোধ করেননি বা করতে পারেননি। এর পরিমাণ বিরাট-বিশাল। তবে এগুলো উদ্ধারে চলমান প্রক্রিয়ার বাইরে বিশেষ কিছু আপাতত: নেই। আমরা চেষ্টা করছি এবং সর্বান্তকরণে সেটি করতে চাই যে, ব্যাংকগুলোর মূলধন যাতে সবল থাকে। ঋণ নিয়েছেন যে প্রকল্পের কথা বলে, সে প্রকল্প চালু রাখার ব্যাপারে আমরা নানাভাবে সচেষ্ট রয়েছি।

প্রশ্ন : পেনশন স্কীম করা হচ্ছে?

উত্তর : অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে ডিপজিট পেনশন স্কীম (ডিপিএস) চালু রয়েছে। সেটি খুবই জনপ্রিয়। সেই ডিপিএসকে প্রবাসীদের সাথে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবছি।

প্রশ্ন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা কেমন করছেন?

উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে আমার দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে এমন ভাল সরকার আর কখনো ছিল না। জনসাধারণের কল্যাণে এমনভাবে নিবেদিত সরকার খুব কমই দেখেছেন বাংলাদেশীরা। জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আমাদের সরকার সবসময় সোচ্চার রয়েছে। আমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, ১৫ বছর আগে যে বাংলাদেশ দেছেন, এখন আর সে বাংলাদেশ নেই। এখন অন্য মাত্রার একটি বাংলাদেশ দেখতে পাবেন। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিশাল। আগে যেখানে ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হতো, গত বছর ছিল আড়াই লাখ কোটি টাকা। সামনের বাজেট হতে যাচ্ছে ৩ লাখ কোটি টাকার। এথেকেই তো বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের সামগ্রিক কাঠামোতেই বড় ধরনের একটি পরিবর্তন ঘটেছে। আর এই বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের ৮০% প্রাইভেট সেক্টরের।

প্রশ্ন : প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

উত্তর : প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে অবদান রেখে চলেছেন। এ কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ ভালো। রিজার্ভ যখন বাড়ে তখন বহির্বিশ্বের কনফিডেন্স বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে। এসব কারণে আমরা প্রবাসীদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের ভালো চাই, মঙ্গল চাই। এখানে যাদের অব্যবহৃত টাকা রয়েছে, সেগুলো যদি বাংলাদেশের ব্যাংকে রাখেন, তাহলে সেটিও এক ধরনের বিনিয়োগ হবে। আমরাও প্রবাসীদের জন্যে বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা করেছি, করছি।

এ জাতীয় আরও খবর