আজ রাতেই ব্যালন ডি’অর, বাজির ঘোড়া নয়্যার!
---
ক্রীড়া ডেস্ক :ফুটবল বিশ্বজুড়ে এখন একটিই প্রশ্ন,কে জিতবে ২০১৪ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর? তালিকায় আছেন বর্তমান বিজয়ী ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো এবং রানার্সআপ লিওনেল মেসি ও প্রথমবারের মতো মনোনীত জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। ফিফা সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সোমবার জমকালো এক অনুষ্ঠানেই উত্তর মিলবে এ প্রশ্নের।
তবে এবার পাল্টে যেতে পারে সকল সমীকরণ। দুই তারকা নয়,ফুটবল দুনিয়ার বাঘা-বাঘা তারকাদের জনমত সুইপার-গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারের দিকে! এ অনুষ্ঠানের আগেই বেকেনবাওয়ার,দিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে আন্দ্রে শেভচেঙ্কো,কোচ ওটমার হিটফিল্ড থেকে আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো একযোগে বলে দিচ্ছেন, “বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সের জন্য ব্যালন ডি ’অর পাওয়া উচিত নয়্যারেরই।
এমনকি কিউবাতে গিয়ে ম্যারাডোনা এও বলেছেন,‘না মেসি,না রোনালদো, আমার ফেভারিট নয়্যার। ওই ব্যালন ডি ’অর পাওয়ার একমাত্র যোগ্য লোক ও।’
একই সঙ্গে মারাদোনা খোঁচা দিতেও ছাড়েননি,‘মেসি আর রোনালদো তো ব্রাজিলে বিশ্রাম নিয়েই সময় কাটালো।’
গত মৌসুমে ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নয়্যারেরই। আর ব্রাজিল বিশ্বকাপে তো তার ক্রীড়া নৈপুন্য ছিল এককথায় দানবীয়।
গত চার বছর টানা চারবার বর্ষসেরার খেতাব ছিল মেসির দখলে।কিন্তু গতবছর তার সিংহাসনে ভাগ বসায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো। এবার যদি এ খেতাব ধরে রাখতে পারেন রোনালদো তবে মেসির পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই বছর ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে ব্যালন ডি’অর একীভূত হওয়ার পর প্রথম তিন বছর টানা এটা জেতেন মেসি।
তবে রোনালদো গত বছর জাতীয় দলের হয়ে জ্বলে না উঠলেও ক্লাবের হয়ে অসাধারণ খেলেছেন। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে দশমবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টের শিরোপা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেসহ এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। বিশ্বকাপের প্লে অফ ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে অসম্ভবকে সম্ভব করে পর্তুগালকে নিয়ে যায় বিশ্বকাপে। কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়েই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি,তাই তার দেশ পর্তুগাল গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায়।
তবে বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই অবশ্য পুরনো রূপে ফেরেন সি আর সেভেন। ক্লাবকে উয়েফা সুপার কাপ গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে কোপা দেল রে জেতেন তিনি।
ওদিকে,২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসি গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে কোনো শিরোপা দেখা পাননি।তবে ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে। আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে আনতে তিনি প্রদর্শন করেন অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুন্যের।তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে পরাজিত হলেও তিনি নজড় কড়েছেন সবার।তাই ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঠিকই জিতে নেন এই তারকা।
এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যবন্ত কে হাসবে শেষ হাসি?