সাবেক এমপি শাহ আলমের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জায়গা দখল করানোর অভিযোগ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে জায়গা দখল করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখাউড়ার ধরখার গ্রামের মো. মুজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি এ অভিযোগ আনেন।মুজিবুর রহমান জানান, ২৫ ভাগ মালিকানায় ঢাকার মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ধরখারে তিনি রিফাত নগর প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। মফিজুর রহমান ওই প্রকল্প থেকে মুলধন প্রত্যাহার করে নিয়ে ফিরোজ আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর পক্ষে আমমোক্তার নিয়োগ করে। আমমোক্তার ফিরোজ আহম্মেদ ওই জায়গা মুজিবুর রহমানকে সাবকাবলা দলিলমূলে লিখে দেন। পরবর্তীতে ধরখারের অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান লিটন বেআইনীভাবে মফিজুর রহমানের কাছ থেকে বায়না দলিল করে। ২০১০ সালে ওই দলিল মূলে ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. শাহ আলম প্রভাব খাটালে অ্যাডভোকেট লিটন প্রকল্পের কিছু জায়গা দখল করে নেন। এমনকি প্রভাব বিস্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। লুৎফুর রহমান লিটন প্রকল্পের ওই জায়গা কিছু অংশ সংসদ সদস্যের স্ত্রীকে দিবেন বলেও এলাকায় আলোচনা ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, লুৎফুর রহমান লিটন বর্তমানে প্রকল্পের পুরো জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। এমনকি তিনি পুলিশ প্রশাসনকে দখলে ম্যানেজ করতে না পেরে মিথ্যা প্ররোচণা চালাচ্ছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আখাউড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
অবশ্য লুৎফুর রহমান লিটন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ জায়গার সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ আলমের কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। যে আমমোক্তারের মাধ্যমে মুজিবুর রহমান জায়গার মালিক দাবি করছেন তা ভুয়া’।