বিদায় ২০১৩
---
আজকের দিনটি অন্যসব দিনের মতোই বিদায় নেবে। কিন্তু গ্রেগরীয় দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী, দিনটি একটু বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কারণ আজকের দিনটির বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ রাত ১২টা বাজলেই আমরা পৌঁছে যাব নতুন বছর ২০১৪ সালে। যদিও পুরনোকে বিদায় আর নতুনের আগমন একটি সহজাত নিয়ম। তবুও প্রত্যাশাÑ ২০১৩ সালের সব জরাজীর্ণ ও ব্যর্থতাকে দূরে ঠেলে নতুন বছর সবার জন্যই হয়ে উঠবে সুখকর, বয়ে নিয়ে আসবে শান্তির বারতা। সাফল্যে ভরে উঠবে আঙিনা, আর কানায় কানায় ভরে উঠবে পূর্ণতায়।
২০১৩ সালে অনেক ব্যর্থতার ভিড়ে সাফল্যও কম ছিল না। কম এগিয়ে যায়নি দেশ। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজে হাত দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনি ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধী বিচার করার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। প্রথম দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। ব্যর্থতা ছিল শুধু রাষ্ট্র পরিচালনায় হরতাল, অবরোধ, পিটেকিং আর মানুষ পুড়িয়ে হত্যার নজিরবিহীন বিভৎসতা। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের আন্তরিক ডাকেও দেশের দুপ্রধান রাজনৈতিক দলের নেত্রীদ্বয়কে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি করতে পারেননি রাজনীতিবিদরা। যাই হোক এতসব ব্যর্থতার মাঝেও হতাশ জাতি নিজ চোখে দেখতে পেরেছে যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দৃষ্টান্ত।
এদিকে নতুন বছরে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রধান দাবিÑ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা। কারণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশ অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি বিশ্বজিতের মতো সাধারণ মানুষেরও প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে। বছরের শেষ দিনে সবারই চাওয়া, চলে যাওয়া বছরের সঙ্গে ধুয়েমুছে যাক যত অমঙ্গল। সফলতা, বিজয় ও মঙ্গলের বারতা নিয়ে আসুক নতুন বছর। বিদায় ২০১৩।